শিল-পাটা কোটানো….

গাংনী প্রতিনিধি: বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের মসলা। টাটা কিংবা বাটা। ফুঁজি কিংবা প্রাণ মসলা যার কথাই বলুন, পাটায় বাটা মসলার স্বাদই আলাদা। তাইতো কোরবানির মাংস একটু স্বাদ করে রান্না করার জন্য সব জায়গাতেই পড়ে থাকা শিল-পাটা কুটিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন ঝালাইদারদের কদরই আলাদা। গাংনীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ঝালাইদাররা শিল-পাটা কুটানিদের। বছরের এ মরসুমটাতেই তাদের কদর বাড়ে। ছোটেন এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে। প্রতিটি শিল-পাটায় নেয়া হয় ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা নেয়া হয়।

শিল-পাটা ঝালাইদার (কুটানি) ভোলাডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেন জানান, প্রায় ৩০ বছর যাবত এ পেশায় রয়েছেন। অন্যান্য সময়ে কাজ একেবারই থাকে না। তাই অন্য কাজ করে সংসার চালাতে হয়। বছরের এ মরসুমটাতে সবাই স্বাদের রান্না করার জন্য মসলা বাটতে পাটায় ধার দিতে তাদেরকে তলব করেন। প্রতিদিন অন্তত ৪শ টাকা থেকে ৫শ টাকা আয় হয়ে থাকে। কোদাইলকাটি গ্রামের রহম আলী জানান, আধুনিক যুগে গৃহবধূরা মসলা আর পাটায় বাটে না। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত মসলা ব্যবহার করে। তবে গ্রামবাংলায় এখনও পাটায় বাটা মসলার কদর রয়েছে। তাই কোরবানির ঈদে শিল-পাটায় ধার দেয়ার কাজটা চলছে। বছরের অন্যান্য সময়ে কাজ না থাকলেও এ সময় ধার দেয়ার পাশাপাশি নতুন শিল-পাটাও বিক্রি হচ্ছে।