শিক্ষা বিভাগের ডিজি ও ডিডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ

 

মহেশপুর গুড়দহ স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে তেলেসমাতি কারবার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গুড়দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নামে চলছে তেলেসমাতি কারবার। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শারমিন আক্তারের নিয়োগ দিলেও এমপিও ভুক্তির জন্য নাম পাঠানো হয়েছে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফারহানা আফরোজকে। বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শারমিন আক্তার। আদালত এমপিও ভুক্তির আদেশ স্থগিত করে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি ফারহানা আফরোজার এমপিও ভুক্তি কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ঢাকার মহাপরিচালক, উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিস খুলনা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ঝিনাইদহকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছেন।

এছাড়া মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হককে ৩ দিনের মধ্যে স্ব-শরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

জানা গেছে, মহেশপুর সহকারী জজ আদালতে মামলার বাদী শারমিন আক্তার বুধবার দেওয়ানি ১০১/২০১৭ দায়ের করেন। মামলার বাদী শারমিন আক্তার বিজ্ঞ আদালতকে জানান, মহেশপুর থানাধীন গুড়দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট দৈনিক পত্রিকায় শূন্য পদে একজন ইংরেজি, একজন বাংলা ও দুজন সমাজ বিজ্ঞান সহকারী শিক্ষক পদে এবং সমাজ বিজ্ঞান সৃষ্ট পদে একজন সহকারী ও একজন গ্রন্থগারিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিধি অনুযায়ী আমি সমাজ বিজ্ঞান সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করি এবং লিখিত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করি। ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি  সহকারী শিক্ষক পদে গুড়দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করি। একই সাথে ৭ নং বিবাদী ফারহানা আফরোজা লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দেয়া হয়। বেতন ভাতাদি এমপিও ভূক্ত করণের জন্য আমার নাম প্রেরণে ম্যানেজিং কমিটি গড়িমসি করলে আমি জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করি। গত ১০ এপ্রিল গুড়দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি আমাকে এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম না পাঠিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ৭ নং বিবাদী শারমিন আফরোজকে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন।

বিষয়টি আমি জানতে পেরে আদালতে মামলা করি। বিজ্ঞ আদালত এই বে-আইনি আদেশ কেন বাতিল অকার্যকর ঘোষণা করা হবে না তার জন্য ৩ থেকে ৬ নম্বর বিবাদীর ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও ১ থেকে ৩ নং বিবাদীকে বিজ্ঞ আদালতে স্ব শরীরে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য আদেশ দেন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. এলাহী বক্স।