শিক্ষার মানোন্নয়নে মেহেরপুরে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা

 

মেহেরপুর অফিস: শিক্ষার মানোন্নয়নে মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুরে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক টিএম জাকির হোসেন। মেহেরপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানম, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম, আমঝুপি আলিম মাদরাসার সুপার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজি আনিসুজ্জামান প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক টিএম জাকির হোসেন মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও মেহেরপুর ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন মডেল একাডেমি পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, সহযোগী অধ্যাপক হাসানুজ্জামান মালেক, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানম প্রমুখ তার সাথে ছিলেন।

 

মেহেরপুর মনোহরপুর মৌজায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিএডিসির একাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন অনুমোদনের অভিযোগ

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার মনোহরপুর মৌজায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিএডিসির একাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন অনুমোদনের অভিযোগ উঠেছে। মুজিবনগর সেচ প্রকল্পের মনোহরপুর মৌজার গভীর নলকূপের ম্যানেজার আনোয়ারুল ইসলাম এ অভিযোগ তুলেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বিএডিসির নিয়মানুযায়ী আড়াই হাজার ফুটের মধ্যে কোনো নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু সেদিকে তোয়াক্কা না করে ভুয়া দাগ নম্বর সংবলিত কাগজপত্র দেখিয়ে মেহেরপুর পৌরসভার বাসিন্দা মৃত বক্তার আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম মনোহরপুর মৌজার এক হাজার তিনশ ফুটের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপনের আবেদন করেছেন। স্কিমকৃত মৌজায় চাষিদের জমি না থাকা সত্বেও চাষিদের নাম দিয়ে ভুয়া দাগ নম্বর বসিয়ে ওইসব চাষিদের স্বাক্ষর নিজে জাল করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন তথ্য গোপনের মাধ্যমে স্কিম অনুমোদনের চেষ্টা করছেন। লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, স্কিমের আশেপাশে মোটরচালিত ৬টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এছাড়া আরো ২টি অগভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য মেহেরপুর পল্লিবিদ্যুত সমিতির অফিসে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ অবস্থায় এ ছোট জায়গায় নতুন করে গভীর নলকূপ স্থাপন হলে আগের দুটি গভীর নলকূপ পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। এছাড়া চাষির সেচকাজে বিঘ্ন ঘটবে। সেই সাথে বিএডিসির সার্থকতা আসবে না। এ ব্যাপারে আনারুল ইসলাম বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ) মেহেরপুর ইউনিটের উপসহকারী প্রকৌশলী সরেন্দ্র মোহন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরো বলেন, তিনি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে ও বিএডিসির নিয়ম-কানুন না মেনে সিরাজুল ইসলামের আবেদন মোতাবেক কাজ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে এ ব্যাপারে বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ) মেহেরপুর ইউনিটের উপসহকারী প্রকৌশলী সরেন্দ্র মোহন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিএডিসির বিধি মোতাবেক কাজ করা হবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।