শাকিরাসান্তানাসাম্বায় সমৃদ্ধ বিশ্বকাপের সমাপনী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কলম্বিয়ানগায়িকা শাকিরা, মেক্সিকান গিটারিস্ট কার্লোস সান্তানা, ব্রাজিলীয় গায়কইভেটে সানগালো ও এক সাম্বা স্কুলের অংশগ্রহণে গতকাল রোববার রাতে মুগ্ধতাছড়ালো বিশ্বকাপ ফুটবলের সমাপনী অনুষ্ঠান।বাংলাদেশ সময় কাল রাতে রিও ডিজেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ও জার্মানির ফাইনালটির আগে শুরুহয় অনুষ্ঠানটি।শাকিরার গান গাওয়ার কথা ছিলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। যেকারণেই হোক শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। কেননা আয়োজকরা বেছে নিয়েছিলেনপিটবুল, জেনিফার লোপেজ, ক্লাদিয়া লেইটাকে। তারা থীম সং তৈরি করলো। কিন্তুএই তিন শিল্পীর গাওয়া থীমসং জনপ্রিয়তা পায়নি। এ নিয়ে সমালোচনা হলেব্রাজিল ফুটবল কর্মকর্তারা শেষ পর্যন্ত শাকিরার কাছে ধরনা দিলেন। শাকিরাগান তৈরি করলেন লা, লা, লা। গানটি জনপ্রিয়তাও পেলো। এখন সমাপনী অনুষ্ঠানেযোগ দিতে পেরে শাকিরা জানালেন তিনি শিহরিত।

তার শ্রুতি মধুর ‘লা লালা’গানটি ব্রাজিলে সাধারণ শ্রোতাদের কণ্ঠে উঠছে। শাকিরার অনুষ্ঠান নিয়েফাইনাল ম্যাচের আগে শনিবার মারাকানায় সংবাদ সম্মেলন হয়। শাকিরা আসবেন বলেসংবাদ কর্মীদের উপচে পড়া ভীড়। পাশের চেয়ারে অনুষ্ঠানের তারকা শিল্পীরাছিলেন। মঞ্চে শাকিরা আসার পর ফটো সাংবাদিকদের ক্যামেরার লেন্স ঘুরে গেলো।মনে হলো বিশ্বকাপের সেরা তারকা উপস্থিত হয়েছেন। শাকিরা হাসলে ক্যামেরারফ্লাশ জ্বলতে থাকে। শাকিরা দুষ্টমি করছেন, সংবাদ সম্মেলনে বাজানো গানেরসাথে গলা মেলাচ্ছিলেন। চেয়ারে বসে শরীর দুলিয়ে নাচছিলেন। মুহুর্মুহু ফ্লাসজ্বলল। অসাধারণ সুন্দরী গায়িকা শাকিরা গান লেখেন মিউজিক কম্পোজ করেন। নিজেসেই গানের সাথে নাচেন। বিশ্বকাপের যেটাই করলেন তাতেও ফটো সাংবাদিকদেরক্যামেরা বিরামহীন চলতে থাকলো। ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪, তিনটি বিশ্বকাপে গানগাইলেন শাকিরা। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলে শাকিরা ‘ওয়াকা ওয়াকা’গানটি গেয়ে বিশ্ব জোড়া খ্যাতি পেয়ে গেলেন। তারও আগে জার্মানিতে গাইলেনহিপ’স ডোন্ট লাই। দক্ষিণ আফ্রিকাতেই স্পেনের ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেরসাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলের গত আসরেরচ্যাম্পিয়ন স্পেনের তারকা পিকে কেমন আছে জানতে চাইলে শাকিরা যেন হেসে খুন।চেহারাটা আবার সিরিয়াস করে গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বললেন, ‘পিকে ভালো নেই। স্পেনভালো করতে পারেনি। বাড়ি গিয়ে পিকে খুব মন খারাপ করেছে। তাকে বুঝাতেচেয়েছিলাম সব সময় ফল ভালো হয় না। কিন্তু সেটা মানছেন না আপনাদের প্রিয়ফুটবলার। আমার সান্ত্বনায় কাজ হচ্ছে না।’

ফুটবলারের সাথে জীবন কেমনকাটছে জানতে চাইলে শাকিরা বলেন, ‘আমি ফুটবল ভালোবাসি। ফুটবল খেলাটা আমাররক্তের সাথে মিশে আছে। এটা ছাড়া আমি মনে করি জীবনটাই অচল। একজন ফুটবলারেরসাথে জীবন মানিয়ে নিতে পারলে আমি যেন পরিপূর্ণ। সেটাই ছিলো আমার লক্ষ্য।’একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘আমরা ফুটবলকে সামনে রেখে এক চলতে চাই।পৃথিবীর মানুষের মধ্যে যেন ভেদাভেদ না থাকে।’