রোয়ানুর আঘাতে শ্রীলঙ্কায় নিহত ৭১ জন

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে শ্রীলঙ্কায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ৩৭ শিশুসহ প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। প্রবল বেগে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে দুই লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, দুর্যোগ কবলিত এলাকার প্রায় দুই লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় একটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রোয়ানুর প্রভাবে রাজধানী কলম্বোসহ আরও কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কলম্বোর ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কেগালি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকায় দুটি পৃথক ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে বিকাল পর্যন্ত ৩৪-এ দাঁড়িয়েছিলো।

সংবাদ সূত্রগুলো সর্বশেষ খবরে জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এসব ভূমিধসের ঘটনায় অনেকে প্রায় ৫০ ফুট মাটির নিচে চাপা পড়েন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে এবং আরও অনেকে নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় দিতে এবং নগদ অর্থ ও খাদ্য সাহায্য দিতে শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিদেশি সাহায্যও চেয়েছেন। তার এই ডাকে সাড়া দিয়ে এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ত্রাণ পাঠানো শুরু করেছে। জরুরি ত্রাণসামগ্রী বহন করা ভারতীয় একটি বিমান কলম্বোতে পৌঁছেছে। এছাড়াও ভারতের নৌবাহিনীর দুটি জাহাজও খুব শিগগিরই রাজধানীর বন্দরে পৌঁছাবে। এছাড়া জাপানের একটি ভাড়া করা বিমান ত্রাণসামগ্রী নিয়ে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছে। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে নগদ অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।