রামুতে মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব শুরু

খালেদ হোসেন টাপু,রামু

সমাজে শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রামু রাজারকুল বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থস্থান রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে প্রথম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন করা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাস শ্যাম সাধনা অর্থাৎ বর্ষাবাসের পর শুরু হলো মাসব্যাপী বড় ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবরদান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিহারে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং এ উৎসবকে ঘিরে দৃষ্টিনন্দন নতুন নির্মিতসহ ৩০ বিহারে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষ এ উৎসবে অংশ নেয়।
বৌদ্ধরা জানায় গৌতম বুদ্ধের সময় বিশাখা কর্তৃক পরবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন গাছের পাতা, শিকর থেকে রং বেড় করে, কাপড় বুনে চীবর সেলাই করে ভিক্ষুদের যে কাপড় দান করা হয়, সেটিকে কঠিন চীবর দান বলা হয়।
লেখক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, দীর্ঘ ৩ মাস ধরে বর্ষাবাস যাপন শেষে প্রবারণা আহ্বানে জেগে উঠে বৌদ্ধরা। আর প্রবারণার পর পরই প্রত্যেকটি বৌদ্ধ বিহারে শুরু হয় ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর দান। তিনি বলেন, রামুতে মাসব্যাপী কঠিন চীবন দান উপলক্ষে বিহারে বিহারে নেওয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি।
বিকাল সাড়ে ৪টায় রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উদ্বোধন করেন, বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতিসেন ভিক্ষু। শ্রীকুল পুরাতন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মগুরু পাঞাচারা মহাথের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কঠিন চীবর দানের তাপর্য্য নিয়ে ধর্মালোচনা করেন, উখিয়া ভিক্ষু সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস ধর্মপাল মহাথের, রাজারকুল সদ্ধর্মোদ্বয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ চন্দ্রবংশ মহাথের, শৈলেরডেবা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ কুশলায়ন থের, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের তিলোকাবংশ থের, উখিয়া শৈলের ডেবা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ কুশলায়ন থের, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের পরিচালক লেখক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক প্রসেনজিৎ বড়–য়া। অনুষ্ঠানে কয়েকটি গ্রামের শত শথ  নারী-পুরুষ ঢাক-ডোল বাজিয়ে চীবর মাথায় নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে অংশ নেন।