রাজন হত্যা : ঘাতক মুহিতের স্বীকারোক্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার বহুল আলোচিত মামলায় এবার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে অন্যতম ঘাতক মুহিত আলম ওরফে মুহিত। গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট মহানগর আদালত ৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হকের আদালতে সে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে মুহিতকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুহিত জানায়, আমি পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থলে আমার মোটর পার্সের দোকান (মা অটো পার্টস) রয়েছে। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি আমার ভায়রা চোর সন্দেহে এক ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমাদের গ্যারেজের ভেতরে শিশুটির লাশ পড়ে আছে। এ সময় আমার ভাই কামরুল, শামীম, আলী হায়দার ও চৌকিদার ময়নাকে দেখতে পাই। তখন আমার ভাই আলী হায়দার আমাকে বলে, যেহেতু মারা গেছে সেহেতু লাশ গুম না করলে আমাদের বিপদ হবে। তখন আমি শামীমের ওয়ার্কশপ থেকে মেরামতের জন্য রাখা একটি মাইক্রোবাস নিয়ে আসি। তারপর শিশুটির লাশ শামীম, আলী ও ময়না মিলে মাইক্রোবাসে তুলি। মুহিত জানায়, আমি গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কুমারগাঁও আবাসিক এলাকায় মোড় নিতেই স্থানীয় এলাকাবাসী আমাদের আটক করে। এ সময় শামীম, আলী ও ময়না পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাকে আটক করে লাশসহ পুলিশে সোপর্দ করে। হত্যাকাণ্ডে কামরুল, আলী, শামীম, চৌকিদার ময়না, রাসেল ও পাভেলসহ আরো ৪-৫ জন ছিলো। এর আগে মঙ্গলবার একই আদালতে আসামি নুর মিয়া ও দুলাল আহমদ এবং সোমবার সন্ধ্যায় জবানবন্দি দেয় চৌকিদার ময়না মিয়া। গত ১৪ জুলাই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফিরোজ আলী ও আসমত উল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।