যৌনকর্মীসহ আটক : পরে মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার আশুলিয়ার একটি হোটেল থেকে গত বুধবার রাতে ২২ যৌনকর্মীসহ ৬৪ জনকে আটক করেন ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আনোয়ার হোসেন একই সাথে সাটুরিয়ার বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বাল্যবন্ধু আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সাটুরিয়ার আনোয়ার, শামীম, আলাউদ্দিনসহ ৬৪ জনকে আটক করে সাভার থানা সড়কের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ২২ জনই ছিলেন যৌনকর্মী। পরে এক যৌনকর্মীসহ আনোয়ার ও শামীমকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অন্যদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করে গত বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করে।
ডিবি পুলিশের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, ওপর মহলের চাপ ও অর্থের বিনিময়ে পুলিশ তিনজনকে ছেড়ে দেয়। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা আনোয়ার হোসেন আটক হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘পতিতাসহ আমাকে গ্রেফতার করা হলে পুলিশ ছেড়ে দিল কেন? আর আমি একজন শিক্ষক ও আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে এ ধরনের কাজ করতে পারি কি-না, সেটাও বিবেচনা করা দরকার। তবে আলাউদ্দিন নামের আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী ওই হোটেল থেকে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে বলে শুনেছি।

তিনজনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভারে ডিবির পরিদর্শক শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, আমাদের এক পুলিশ কর্মকর্তার (একসময় সাটুরিয়ায় চাকরি করতেন) অনুরোধ, বিভিন্ন তদবির ও শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত থাকায় আনোয়ার হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর অন্য দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয় বয়সের কারণে।’ অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।