যশোরে শ্রমিক নেতা অপহরণ, প্রতিবাদে সড়কে অবরোধ

 

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক পরিবহন শ্রমিক নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা যশোর শহরের বিভিন্ন এন্ট্রি পয়েন্টে অবরোধ শুরু করেছেন। এতে দক্ষিণবঙ্গের সাথে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলাম মিন্টু ইত্তেফাককে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের পরপরই নতুন উপশহর এলাকার বাসা থেকে সমিতির শাখা সম্পাদক মনসুর আহমেদকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকেরা উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা বাসার লোকদের কাছে একটি মোবাইল নম্বরও দিয়ে যায়। সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেটা কোনো পুলিশের নম্বর না বলে জানানো হয়। তিনি আরও জানান, ‘আমরা কোতোয়ালী থানা, যশোর ও ঢাকা ডিবিতে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কেউই তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করছে না। এভাবে তো একটা লোক হাওয়া হয়ে যেতে পারে না।’ মিন্টু আরও বলেন, ‘মনসুরকে অপহরণের কথা শুনে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছে। তারা প্রথমে শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর পর্যায়ক্রমে মুড়লি মোড়, মণিহার ও নতুন বাস টার্মিনালেও অবরোধ সৃষ্টি করেছে এবং আরও এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। রাস্তায় এখন হাজার হাজার শ্রমিক। মনসুরের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা ঘরে ফিরবে না।’

এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যশোর হয়ে ঢাকায় চলাচলকারী যশোর, নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরার সকল পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। এসব জেলার মধ্যে চলাচলকারী অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। একইভাবে ঢাকা থেকে এসব জেলামুখি পরিবহনও খাজুরা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে আটকা পড়েছে।

যশোরের এএসপি (ক সার্কেল) ভাস্কর সাহা ইত্তেফাককে জানান, ‘মনসুরকে গ্রেফতারের কথা শুনেছি। তবে কারা করেছে আমার জানা নেই। শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে থানাকে বলা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।’ কোতোয়ালী থানার ওসি ইলিয়াস আলী বলেন, ‘মনসুর আটকের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। অবরোধ তুলে নেয়ার ব্যপারে নেতাদের সাথে কথা বলছি। অবরোধস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

যশোর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু নিশ্চিত করেছেন মনসুর আহমেদ তাদের জেলা কমিটির সদস্য।