মোষ ধরতে নাজেহাল : অবশেষে গুলি

মেহেরপুরের আমঝুপি পাগলা মোষে পুরো তল্লাট তটস্থ

 

আমঝুপি প্রতিনিধি: পাগলা মোষ তাণ্ডব চালিয়েছে বাড়িঘর আর ক্ষেত-খামারে। তছনছ করেছে মাঠের ফসল। আর যাকে সামনে পেয়েছে তার ওপরেই চালিয়েছে আক্রমণ। এ আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি পুলিশ সদস্যও। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের কাঠিকাঠা মাঠে। পরে ওই পাগলা মোষকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুলিশ।

আহতরা হচ্ছেন- সদর থানার কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার (৩৫), রাজনগর গ্রামের কৃষক ইনতাজ আলী (৩০) ও মোষের মালিক গাংনী থানাপাড়ার আব্দুর রহিম (৪০)। আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী থানাপাড়ার সুজন মিয়া হালচাষের একটি মোষ বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ পাগলা আচরণ শুরু করে। বাড়ির লোকজনকে আক্রমণ করে মাঠের দিকে ছুটে যায়। গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে মোষটি আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে মোষটিকে মালিকের বাড়ি থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মাঠে দেখা যায়। ওই মাঠের ফসল তছরুপ ও কৃষকের ওপর আক্রমণ করে। খবর পেয়ে হিজুলি, আমঝুপি, রাজনগর ও রঘুনাথপুর গ্রামের লোকজন মোষটি ধরার চেষ্টা করে। গ্রামবাসী ব্যর্থ হলে খবর দেয়া হয় সদর থানায়।

মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান জানান, মোষের আক্রমণে দুজন আহত হওয়ার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। মোষকে গুলি করতে গিয়ে কনস্টেবল সাত্তার আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোষটিকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মোষের মাথা মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। বাকি মাংস মালিক আব্দুর রহিমকে দেয়া হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শশাঙ্ক কুমার মণ্ডল জানান, মোষের ব্রেন কোনো কারণে কাজ না করায় পাগলের মতো আচরণ শুরু করে। ব্রেনের সমস্যার কারণে এ ধরনের হিংস্র আচরণ করে থাকতে পারে।