মোমিনপুর দর্শনা ও জীবননগরে কেরুজ ইক্ষু রোপণ মরসুমের উদ্বোধনকালে এমডি সুদর্শন মল্লিক

অধিক মুনাফা লাভের জন্য আখচাষ করুন

জীবননগর ব্যুরো: দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আওতাধীন ২০১৩-২০১৪ আখ রোপণ মরসুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার জীবননগর সাবজোনের অধীনে উথলী কেন্দ্রের ৫১ নং ইউনিটের প্রগতিশীল আখচাষি আবজালুর রহমান ধীরুর জমিতে রোপা আখচাষের বেড স্থাপনের মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করা হয়। কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদর্শন মল্লিক ইক্ষু মরসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

আখ রোপণ মরসুমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিএসএফআইসি’র মহাব্যবস্থাপক (এফঅ্যান্ডআর) আলী কদর, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মোস্তফা কামাল, মহাব্যবস্থাপক (ডিষ্টিলারি) সুরেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল কাইয়ুম, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) ইউসুফ আলী শিকদার, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোশারফ হোসেন, উপমহাব্যবস্থাপক (সম্প্রাসরণ) এসএম আলাউদ্দিন, উপমহাব্যবস্থাপক (বিপও এগ্রো.) খয়বর হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (সম্প্রসারণ) গিয়াস উদ্দীন, কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স।

মোমিনপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুরে চুয়াডাঙ্গা উত্তর সাব জোনের আখ রোপণ ও বীজ তলায় বীজ স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে মোমিনপুর গ্রামের আখচাষি আজিবর রহমানের ৩৩ শতাংশ জমিতে ইশ্বরদী-৩৯ জাতের আখ সরাসরি রোপণের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম সুদর্শন মল্লিক।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ একযোগে ১৩টি মাঠে আখ রোপণ করার মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে। গতকাল রোববার সকাল থেকে দিনভর দর্শনা পৌর শহরের আজিজবর রহমান, আকন্দবাড়িয়ার নুরুল ইসলাম, দামুড়হুদার ছয়ঘরিয়ার রকিব উদ্দিন, মদনার মোমিনুল ইসলাম, পুরাতন বাস্তপুরের জাহিদুল ইসলাম, জীবননগরের উথলীর আফজালুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরের আজিবর রহমান, মিজানুর রহমান, গড়চাপড়ার আব্দুল হান্নান, রোয়াকুলির সানোয়ার হোসেন, গোপালনগরের কলিম মোল্লা, ইসলামপাড়ার আলমগীর হোসেন, মাসুমের জমিতে আখ রোপণ ও বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সর্বমোট ৯ একর ৮৬ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি ও আখ রোপণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে উপস্থিত থেকে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদর্শন মল্লিক বলেন, যে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে এ অঞ্চলকে আলোকিত করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে বেশি বেশি করে আখচাষ করতে হবে। তিনি বলেন, অধিক মুনাফা লাভের জন্য আখচাষ করুন।

উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ আখ রোপণ মরসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার একর জমিতে। এর মধ্যে চাষিদের জমিতে ১১ হাজার ২’শ একর ও চিনিকলের নিজস্ব জমিতে ১২’শ ৮০ একর জমিতে। আখ রোপণের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চিনিকল কর্তৃপক্ষ এবার চাষিদের মাঝে নগদ অর্থ, বীজ, সার, কীটনাশক বাবদ প্রায় ১ হাজার ৩’শ ৮০ কোটি টাকার ঋণ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে এ চিনিকল জোনে দণ্ডায়মান আখ রয়েছে সাড়ে ৯ হাজার একর জমিতে। এ থেকে আগামী মাড়াই মরসুমে ১ লাখ মেট্রিক টন আখ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।