মোদির বিহার জনসভায় বিস্ফোরণ : নিহত ৭

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনায় গান্ধী ময়দানে গতকাল রোববার নরেন্দ্র মোদির জনসভার আশপাশে পরপর ৬টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিহত হয়েছে ৭ জন। সকাল ৯টা থেকে কিছু সময় পরপর এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৬টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মোদির সভাস্থল থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে গান্ধী ময়দানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে হিংসার রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা। রাহুল সম্প্রতি এক জনসভায় উল্লেখ করেন, তিনিও তার দাদি ও বাবার মতো গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন। বিজেপি প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং বলেন, যদি কংগ্রেস যুবরাজের (রাহুল) মৃত্যুর ভয় হয়ে থাকে তবে তিনি আরও নিরাপত্তা নিতে পারেন। জনগণের সামনে কান্নাকাটির কোনো দরকার নেই। এছাড়া, রাজনীতিতে গান্ধী ও রাহুলের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদি। রোববার পাটনায় দেয়া বক্তব্যে মোদি বলেন, আগে বংশানুক্রমিক রাজনীতি ছাড়ুন তারপর আমি রাহুলকে ‘শাহজাদা’ বলা বন্ধ করবো। তিনি এ সময় জনগণকে মনে করিয়ে দেন, রাহুলের মা কংগ্রেস সভাপতি আর রাহুল হলেন ‘কংগ্রেস ম্যান নম্বর-২’। এভাবে রাজনীতি চলতে থাকলে আমার মুখও বন্ধ হবে না।

অন্যদিকে, রোববার পাটনায় নরেন্দ্র মোদির সভাজুড়ে ছিলো সাজসাজ রব। বিহারের রাজধানী ঢেকে গিয়েছিলো মোদির পোস্টার-ফেস্টুনে। কিন্তু সবকিছুই যেন ভেস্তে গিয়েছিলো ধারাবাহিক বিস্ফোরণের খবরে। প্রথম বিস্ফোরণের ঘটানাটি ঘটে পাটনা রেলস্টেশনে। সকাল ৯টা নাগাদ পাটনা রেলস্টেশনের পাশে একটি শৌচাগারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হন। বিস্ফোরণস্থল থেকে আরও দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটিও ঘটে পাটনা রেলস্টেশনে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে গান্ধী ময়দানে।