মেহেরপুর স্কুলগুলোতে ওয়াচ কমিটির মাধ্যমে সাফল্য আসছে

সাদ আহাম্মদ: মেহেরপুর জেলার ৪টি ইউনিয়নে দু বছর আগে এক যোগেওয়াচ কমিটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয় গুলোতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সংশ্লিষ্ঠরা এ দাবি করে বলেছেন, গণসাক্ষরতা অভিযান এর সহায়তায় স্থানীয় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার ফলে বিশেষ করে বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ৯৭ ভাগ, ঝরে পড়ার হার কমে এসেছে ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক পরিচালক জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলার আমঝুপি, আমদহ, দারিয়াপুর ও মোনাখালী ইউনিয়নের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ সদস্যসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এস এমসি সদস্যসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষায় সুশাসন, আনদন্দায়ক শিক্ষা, কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। ইতোমধ্যে এ সকল সদস্য হন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ আদর্শ বিদ্যালয় শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম, পরিদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও আদর্শ বিদ্যালয় পরিদশর্ন শেষে স্ব স্ব ওয়াচ গ্রুপ সদস্যরা বিদ্যালয়ের এসএমসির মাধ্যমে সভা ও পরিকল্পনা করে। ৪টি ইউনিয়নের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ফুলের বাগান স্থাপন, ২২টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ শিক্ষা সহায়ক উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়, ২০টি বিদ্যালয়ের ১০০টি ক্লাসের রুম মহামানব ও কবিদের নামে নামকরণ করা হয়, ৫টি বিদ্যালয়ে পাঠাগার স্থাপন করা হয়। শিক্ষকগণ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করছেন। আমঝুপি মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর নির্বাহী প্রধান ও কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ কমিটির সদস্য সচিব এবং আমঝুপি ওয়াচ গ্রুপের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান জানান যে ওয়াচ কমিটির কার্যক্রমের ফলে বিদ্যালয়গুলোতে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। এ সকল কর্মকাণ্ডে স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন, শিক্ষক, এসএমসি ও ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাপক সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এছাড়া ও ২৫টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাই ও পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ১০টি বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে দলীয় শিখন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় এ ৪টি ইউনিয়নের ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাসহ এসএমসি, ওয়াচ সদস্য, শিক্ষা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় কমিউনিটির মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি হয়েছে।