মেহেরপুর জেলায় ১৫ স্থানে ওএসএম চাল বিক্রি শুরু ॥ আতপ চাল বিক্রি নিয়ে সংশয়

মাজেদুল হক মানিক: আজ বৃহস্পতিবার থেকে মেহেরপুরে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম (ওএসএস)। অবশ্য সোমবার থেকে জেলা পর্যায়ে শুরু হয়। তবে আতপ চাল সরবরাহ করায় তা বিক্রি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আতপ চালের ভাত খাওয়ায় অনভ্যস্ত এ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের তেমন সাড়া মিলছে না চাল কেনায়। তবে গরম পানিতে রান্না করলে সিদ্ধ চালের ভাতের মতই ভাত খাওয়া যায় বলে পরামর্শ দিলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা। গত সোমবার থেকে মেহেরপুর জেলা শহরের ৯ কেন্দ্রে ওএসএম চাল বিক্রি শুরু হয়। খাদ্য অধিদফতরের নির্দেশনার আলোকে আজ থেকে জেলার গাংনী উপজেলা শহরে তিনটি ও মুজিবনগর উপজেলা শহরে তিনটি কেন্দ্রে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে। সেলক্ষ্যে গতকাল বুধবার ডিলাররা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করছেন বলে জানা গেছে।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, এবারে খোলা বাজারে চাল বিক্রির জন্য গুদাম থেকে আতপ চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এ চাল ডিলাররা সাড়ে ২৮ টাকা কেজি দরে কিনে ৩০ টাকায় বিক্রি করবেন। প্রতিদিন একজন মানুষ সব্বোর্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। জেলা শহরের ৯ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ মেট্রিক টন, গাংনীর ৩ কেন্দ্রে ৩ মেট্রিক টন ও মুজিবনগর উপজেলার ৩ কেন্দ্রে ৩ মেট্রিক টন করে বরাদ্দ করা হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, মোটা চাল ৫০ টাকা কেজি এবং চিকন চাল আরও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে দরিদ্র মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই খোলা বাজারে চাল বিক্রি হলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন শ্রমজীবী ও দরিদ্র মানুষেরা। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষ আতপ চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাই আতপ চাল কিনে ভাত খাওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সোমবার থেকে মেহেরপুর জেলা শহরে চাল বিক্রি শুরু হলেও ক্রেতাদের তেমন সাড়া নেই।
মেহেরপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড ওএসএস ডিলার সুমন হোসেন বলেন, সরকার নির্ধারিত এই মূল্যে মোটা চাল দেয়া হলে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যেত। কিন্তু আতপ চাল তেমন বিক্রি হচ্ছে না। আতপ চাল বিক্রি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ওএমএস ডিলার সালা উদ্দীন।
আতপ চাল রান্না পদ্ধতি জানা থাকলে সিদ্ধ চালের মতই ভাত খাওয়া যায় বলে জানালেন মেহেরপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, সিদ্ধ চাল রান্নায় যে পরিমাণ পানি দেয়া হয় তার চেয়ে কম পরিমাণ গরম পানি দিয়ে আতপ চাল রান্না করতে হবে। তাহলে সিদ্ধ চালের ভাতের মতই স্বাদ পাওয়া যাবে। এতে পুষ্টিগুণও বেশি থাকে। এই পদ্ধতিতে আতপ চাল রান্না করে খেলে মানুষের ভীতি কেটে যাবে বলেও জানালেন তিনি।