মেহেরপুরে প্রথম স্ত্রীকে ফেলে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে : স্বামীর খোঁজে গিয়ে ২য় স্ত্রী ও তার স্বজনদের হাতে প্রথম স্ত্রী প্রহৃত

 

মেহেরপুর অফিস: স্বামীকে কাছে পেতে গিয়ে শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছে গৃহবধূ পিংকী আক্তার। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী রেফার করলেও অর্থের অভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিংকী জানায়, তার শ্বশুর আবুল কাশেম কোরাইশীর অভিযোগ করেন- তার ছেলে রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে। ওই অভিযোগে পিংকী তার স্বামীর খোঁজে বুধবার রাত ১০টার দিকে নববিবাহিত ২য় স্ত্রী শহরের পৌর ঈদগাপাড়ার সোনিয়াদের বাড়িতে যায়। ওই সময় তার স্বামী রাশেদকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে ২য় স্ত্রী সোনিয়া। এর পর সোনিয়া এবং তার পিতা মোহাসেন মণ্ডল ও মা ছফেলা মেরে ফেলার উদ্দেশে পিংকীকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী রেফার করলেও অর্থের অভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার যাওয়া সম্ভব হয়নি।

নির্যাতিতা পিংকী আরো জানায়, গরিবের মেয়ে বলে বিয়ের পর থেকে সে শ্বশুরের রোষানলে পড়ে। তাকে ভাত ছাড়তে হবে। শ্বশুরের এমন ষড়যন্ত্রে শরিক হয় চক্রপাড়ার রেজাউল মোল্লা ও আলামীন হোসেন। আবুল কাশেম কোরাইশী একই পাড়ার রেজাউল মোল্লা ও আলামীন হোসেনের সহযোগিতায় ছেলে রাশেদকে পৌর ঈদগাপাড়ার মোহাসেন মণ্ডলের মেয়ে সোনিয়ার সাথে বিয়ে দেয়। ঘটনার রাতেও তাদের পরামর্শে সোনিয়াসহ তার পিতা-মাতা তাকে মারধর করে।

একাধিক সূত্র জানায়, মেহেরপুর পৌরসভার বেড়পাড়ার মো. রানার মেয়ে পিংকী আক্তার কলেজছাত্রী। সে লেখাপাড়া শেষ করার আগেই মেহেরপুর শহরের চক্রপাড়ার আবুল কাশেম কোরাইশীর ছেলে রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদ তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে রাশেদ তার প্রেমিকা পিংকীকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে এফিডেভিট ও ভালাইপুর এলাকার এক কাজির মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেনমহরে বিয়ে করে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার এসআই খাইরুজ্জামান জানান, ওই রাতে মারাত্মক আহত পিংকী আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি ও থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এদিকে সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি। তবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।