মেহেরপুরের হিজুলী গ্রামে বিয়ের আসরে বর-কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বিয়ে পণ্ড :আহত৬

 

আমঝুপি প্রতিনিধি: বরের ভাগ্নে বলে কথা। মামার বিয়েতে গিয়ে একটু আধটু দায়িত্ব পালন করবে না তা কি হয়?কিন্তু এ দায়িত্ব পালনের বাড়াবাড়ি শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়। বরযাত্রীদের খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বরের ভাগ্নে সাগর হোসেন টেবিলে লাথি মারে। কিন্তু বিষয়টি চোখ এড়ায়নি কনে পক্ষের লোকজনের। যা হবার তা-ই হলো। উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হয় দু পক্ষের ছয় জন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু দু পরিবারের সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি। ভেঙে গিয়েছে বিয়ে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ঘটনার এমনই বর্ণনা দেন। আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের মিনাপাড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের হঠাতপাড়ার ট্রাকচালক শাহীন হোসেনের বিয়ে ঠিক হয় হিজুলী গ্রামে। দুপুরে প্রায় ৮০ জন বরযাত্রী নিয়ে শাহীন হাজির হন কনের পিতা মুন্তাজ আলীর বাড়িতে। সাজ সজ্জাসহ দুপুরের খাবার রান্না প্রায় সম্পন্ন। বরযাত্রীরা খাবার টেবিলের সামনে বসে অপেক্ষারত। খাবার পরিবেশনে দেরি করার অভিযোগে শাহীনের আপন ভাগ্নে সাগর হোসেন উচ্চবাচ্য শুরু করেন। এক পর্যায়ে খাবার টেবিলে লাথি দেয়। কনে পক্ষের লোকজন প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে আহত হন কনে পক্ষের একরামুল হক (৪২) ও আরিফ হোসেন (২৯)।বরের প্রতিবেশী আবুল বাশার (৩০) ও আব্দুল আলিম (৫৫), বরের ভাগ্নে আকবর আলী (২৮) ও চাচাতো ভাই আক্কাস আলী (৩০)। কনে পক্ষের লোকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর পক্ষের ৪ জনকে ভর্তি করা হয় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে।

এদিকে খবর পেয়ে বারাদী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর পক্ষের চারজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিকেলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসায় কনে পক্ষকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে ছাড়া পায় তারা।