মেঘনায় ট্রলার ডুবি: আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ডুবে যাওয়ার ট্রলারের ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান। এই নিয়ে দুইদিনে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রামপুরা থেকে ৮০/৯০ জন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের মতলব থানার বেলতলী এলাকায় সোলেমান শাহ ওরফে লেংটার মেলায় যাওয়ার পথে সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়।

নিহতরা হলেন- রাজাধানীন নর্দ্দা এলাকার জয়বুন নেছা (৬৬) তার মেয়ে রানু আক্তার (৩০), শান্তা আক্তার (২৮) ও বানু বেগম (৫০), রাজধানীর উত্তরা নয়ানগরের সাফিয়া বেগম (৪৬) ও তার মেয়ে রুবিনা আক্তার (২৮)। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করা হয় আব্দুস সাত্তার (৪৫), তার মেয়ে লামিয়া (৫), জহুরা বেগম (৭০) ও মোসাম্মদ কাঞ্চন বেগমের (৬৮) লাশ। এখনো পুলিশের তালিকা অনুযায়ী সাতজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি থেকে শুক্রবার আরও ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া ট্রলারটি টেনে তীর আনা হয়েছে। সোনারগাঁও ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। “তালিকা অনুযায়ী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন। তাদের খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালানো হবে।” সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম বলেন, লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া হালিম ভাণ্ডারি বলেন, তিনিসহ পরিবারের ছয়সদস্য সোলায়মান শাহ ওরফে লেংটার ওরসে যাচ্ছিলেন। ট্রলাটি মেঘনা নদীর চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। “শ্যালক শাহজাহান ও আমি সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পানিতে ডুবে মারা যায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই শ্যালিকা।