মুজিবনগরে ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে মোটরসাইকেলে আগুন : একটি ছেড়ে দেয়ায় ধুম্রজাল

মুজিবনগর প্রতিনিধি: ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। আরেকটি ছেড়ে দেয়ায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এ রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতরাত ৮টার দিকে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার প্রধান সড়কে গৌরীনগর খালের ধার এলাকায়।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীসূত্রে জানা গেছে, গৌরীনগর গ্রামের আবুল শেখের ছেলে ইমাদুল ইসলাম ঘটনার সময় বাগোয়ান গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগে মুজিবনগর-মেহেরপুর প্রধান সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গৌরীনগর রবি মিয়ার ইটভাটার কাছে পৌঁছুলে দেখা হয় রামনগর গ্রামের হয়রত আলীর ছেলে আজিল হোসেনের সাথে। আজিল হোসেনের মোটরসাইকেলে আরো একজন আরোহী ছিলেন। তারা তিনজন সড়কের ওপরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ইমাদুল জানিয়েছেন, গল্প করার এক পর্যায়ের মুখ বাঁধা ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত এসে তাকে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়। নিজের পোশাক কেটে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। দুর্বৃত্তদের মধ্য থেকে একজন মোবাইলফোনে বাবু নাম উল্লেখ করে মোটরসাইকেল দিলে দাম কেমন হবে এমন কথাবার্তা বলে। এভাবে পড়ে থাকার প্রায় এক ঘণ্টা পরে মুজিবনগর থেকে একটি পরিবহন আসে। ইমাদুল ইসলাম পরিবহনের পেছনে পেছনে চিৎকার করে দৌঁড়াতে থাকেন। চিৎকার শুনে তার গ্রামের লোকজন তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন। তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে এসে দেখেন মোটরসাইকেলে আগুন জ্বলছে। নেভানোর আগেই মোটরসাইকেলের বেশিরভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন মুজিবনগর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। ইমাদুল ইসলামের অভিযোগ, তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দিলেও আজিল উদ্দীনের মোটরসাইকেল ছেড়ে দিয়েছে। এতে উপস্থিত সকলের মাঝে রহস্যের দানা বাধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ইমাদুল ইসলাম। ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশের কাছেও বিষয়টি রহস্যজনক। তদন্ত চলছে। খুব শিঘ্রই এ রহস্যে উন্মোচন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

ইমাদুল জানিয়েছেন, চাচাতো ভাই জামারুলের হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি জরুরি কাজে গিয়েছিলেন। গাড়িটি পুড়ে যাওয়ায় তিনি মানসিক ও পারিবারিকভাবে চরম অশান্তিতে ভুগছেন। পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে আজিল হোসেনে জানিয়েছেন, তিনি গৌরীনগর গ্রামে যাওয়ার পথে ইমাদুলের সাথে আমাকেও আটকে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরিবহন এলে তিনিও পালিয়ে রক্ষা পান বলে জানিয়েছেন।