মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে : অপহরণের পর নির্যাতন

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যের ঘর ভেঙে দ্বিতীয় বিয়ে করার ঘটনা ফাঁস করে দেয়ার অপরাধে দু বন্ধু মিলে এক যুবককে অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। খুন ও গুম করার অপচেষ্টা করাকালে কৌশলে অপহৃত যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রভাবশালী অপহরণকারীদের হুমকির মুখে অসহায় পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, কুলতলা গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে সুমন (২৪) অনন্তপুর গ্রামে খালাতো বোনের সাথে বিয়ে করে। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে সুমন সম্প্রতি দামুড়হুদায় এক গৃহবধূর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। স্ত্রীকে তালাক দেয়ার মিথ্যা নাটক করে ওই গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে ভাগিয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সংসার করছিলো। এ ঘটনা সমুনের গ্রামের এক বন্ধু আব্দুর রহমানের ছেলে চট্টগ্রামে বসবাসরত আব্দুল্লাহ (২৮) তার ২য় স্ত্রীর নিকট ফাঁস করে দেয়। ১ম স্ত্রী ও সন্তানকে ঘরে রেখে ২য় বিয়ে করার ঘটনায় সুমন ও তার নববধূর মধ্যে মনোমালিন্য ও অশান্তি দেখা দেয়। এরই মধ্যে ঈদের ছুটি পেয়ে তারা বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুমন ও তার বন্ধু কুলতলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শহীদ (৩২) প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গত বুধবার রাত ৯টার দিকে আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহকে আন্দুলবাড়িয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে অপহরণ করে নির্জন নদীর ধারে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। অপহৃত আব্দুল্লাহ বলেছেন, তাকে নির্যাতনের পর খুন করার পরিকল্পনা করাকালে সে কৌশলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে প্রাণে রক্ষা পায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।