মাংস খাওয়ায় লাভ-ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে খাদ্য তালিকা থেকে অনেকেই মাংস বাদ দেন। তাহলে কি সৌন্দর্যসচেতন মানুষের জন্য মাংস খাওয়া বারণ?
অনেকেরই এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে৷ বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ জানান, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খাবার (ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার, যা বিভিন্ন ক্ষতিকর অক্সিডাইজিং উপাদান থেকে প্রাণীদেহ রক্ষা করে) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মাংসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ খুব সামান্য, যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের অক্সিডেশন বাড়িয়ে আনে তারুণ্যের ঔজ্জ্বল্য। তাই নিজেকে তরুণ দেখাতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে মাংস বাদ দিতেই পারেন।
তবে নিজেকে কর্মক্ষম রাখতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবারেরও প্রয়োজন রয়েছে। একই সাথে মাংসপেশির ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে প্রোটিন। এদিকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই প্রোটিন রয়েছে মাংসে। তাই মাংস ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবতে চাইলে এখন থেকেই খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে ডাল, ছোলা, রাজমার মতো বীজজাতীয় খাবার। এসব উদ্ভিজ্জ খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যা শরীর কর্মক্ষম রাখার পাশাপাশি বাড়িয়ে তুলবে ত্বকের সজীবতা।

বদহজম হলে যা খাবেন

স্টাফ রিপোর্টার: ভালো খাওয়াদাওয়া করলে বদহজম হয়। ঢেকুর ওঠে, পেট ফাঁপে। কারও আবার এই সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক। যাদের হজমশক্তি একটু গোলমেলে, তারা কী খাবেন?
এটা আসলে নির্ভর করে একেকজনের খাদ্যাভ্যাসের ওপর। ঠিক কোন ধরনের খাবারে সমস্যা বাড়ে, তা চিহ্নিত করতে হবে। কারও দুধ খেলে পেট ফাঁপে, কারও শাক। যে খাবারে সমস্যা হয়, তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এমনিতে উচ্চ তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। উচ্চ আমিষ, যেমন লাল মাংস হজম প্রক্রিয়াও জটিল। চকলেট, ক্যাফেইন ইত্যাদি হজমের জন্য খারাপ। এ বিষয়গুলো লক্ষ রাখুন। এবার বেছে নিন নিজের জন্য উপযুক্ত খাবার। আঁশযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়, ফলে পেট ফাঁপা ভাবটা কমে। লাল চালের ভাত, ভুট্টার তৈরি খাবার বা ওটমিল, ডাল ইত্যাদি আঁশযুক্ত খাবার। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। টক দই খেলে এই উপকার পাবেন। দুধে বদহজম হলেও টক দই কিন্তু হজমে সহায়তাকারী। এছাড়া সহায়ক মাছ ও পাতলা করে কাটা মাংস; মুরগি হলেও ভালো। আমিষজাতীয় খাবারের সাথে লেবুর রস, পেঁপে বা আনারসের রস দিয়ে মেরিনেট করা ভালো। এগুলোর উৎসেচক সহজে আমিষ ভাঙতে সাহায্য করে। পেঁপে, আপেল, ডুমুর, কলা ইত্যাদি ফল হজমশক্তি বাড়ায়।
যাদের হজমে গোলমাল আছে, তাদের জন্য একটু আদা, পুদিনা পাতা, লেবু ইত্যাদি রোজ খাওয়া ভালো। ধূমপান সমস্যা বাড়াবে। মদ্যপানও তাই। এগুলো বর্জনীয়। এছাড়া পরিমাণমতো পানি পান করুন। সময় মেনে চলুন। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না। এছাড়া বেশি রাত করে খাবেন না। একসাথে প্রচুর পরিমাণে খাবেন না। এই অভ্যাসগুলো বদহজম বাড়াবে। খাদ্যাভ্যাসে একটু পরিবর্তন এনেই আপনার হজমের সমস্যা কমিয়ে আনতে পারবেন।