মহেশপুর সামন্তা সীমান্তে বিজিবির সোর্স কর্তৃক সোনার গয়না গায়েবের জোর গুঞ্জন : উদ্ধার অভিযানে পুলিশ

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলার সামন্তা সীমান্ত থেকে মোটা অঙ্কের সোনার গয়না বিজিবি সোর্স আতিয়ার কর্তৃক গায়েব হয়েছে বলে জোর গুঞ্জন উঠেছে। এ রহস্য ভেদ করতে পুলিশ অভিযানে নামলেও গতকাল পর্যন্ত রহস্যের জট খোলেনি।

সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে সামন্তা পাকরাইল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আশা প্রায় দেড় কেজি সোনার গয়না পাকরাইলের বিজিবির সোর্স আতিয়ারের হাতে ধার পড়ে। আতিয়ার এলাকার প্রভাবশালী গ্যাং গ্রুপ নিয়ে সোনার গয়নাগুলো ভাগাভাগি করে নেয়। এ তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে স্থানীয় নেতারা ভাগ পাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এর মধ্যে ভৈরবা বাজারের সাইফুল, ওবাইদুল, ফারুক কৌশলে আতিয়ারকে আটক করে। পরে রাজুর মাধ্যমে ২ লাখ টাকার চেক দিয়ে সে মুক্তি পায়। ডালভাঙ্গা গ্রামের সরকার দলীয় নেতা ইয়ানবী ইতোমধ্যে ভাগের টাকা দিয়ে একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনেছেন। বিষয়টি পুলিশের সোর্স সামন্তা গ্রামের গোলজার জানতে পেরে পুলিশকে জানায়। ভৈরবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুনীল জানান, ওসির নির্দেশে আতিয়ারকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। ১ দিন পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি শুনেছেন আতিয়ার কর্তৃক ভারত থেকে আসা দেড় কেজি ওজনের সোনার গয়নার চালান গায়েব করা হয়েছে। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। সীমান্তের একটি সূত্র জানায়, ভারত সীমান্তের চুয়াটে পাঁচমাইল এলাকার বাসিন্দা অরুন ও সুনীল বাংলাদেশের লালপুর গ্রামের নুর ইসলামের কাছে প্রায় দেড় কেজি সোনার গয়না পাঠায়। পাকরাইল সীমান্তের গোপন সূত্র জানায়, সোনাগুলো রাখার সময় আতিয়ারের ভাই হাফিজুর দেখে ফেলে। পরে দু ভাই মিলে গয়না উদ্ধার করে যশোরের এক পার্টির কাছে ৬০ ভাগ বিক্রি করে। অর্ধ কোটি টাকার সোনা নিয়ে সীমান্তে হইচই পড়ে যায়। স্থানীয় নেতারা ভাগ নিয়ে বিষয়টি এখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ প্রথম দিকে উদঘাটনের চেষ্টা করলেও রহস্যজনক কারণে থেমে গেছে। মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনা ও চেক উদ্ধারের চেষ্টা করেছে।