মহেশপুর প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার ছুটিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে দেয়ার ধুম পড়েছে। হাফ ডজন বিয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে অফিস আদালত বন্ধ থাকার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছেলে মেয়ের বয়স না হলেও বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এ সকল বিয়ে কাজী দ্বারা রেজিস্ট্রি না হলেও মৌলবী বা নোটারী পাবলিক দ্বারা বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। যা দেশের আইন অনুযায়ী বৈধ নয়।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, ফতেপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে শিলা খাতুনের (১৬) সাথে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে কোটচাঁদপুর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামে পলাশের, নিমতলা গ্রামের আজিজুরের মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া খাতুনকে (১৪) গত ১০ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে, নেপা ইউপির বাউলি গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী আরিফা খাতুনের (১৪) সাথে গত ৮ সেপ্টেম্বর ঝিটকিপোতা গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মোমিনুরের, পুরন্দপুর গ্রামের নুরু মণ্ডলের মেয়ে খাদিজা খাতুনের (১৪) সাথে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের জামাল মণ্ডলের ছেলে ওমর আলীর ও নাটিমা গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আইভিকে (১৬) হাসাদাহ গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। মথুরা গ্রামের হায়দার আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রাহেলার শুক্রবার বিয়ের আয়োজন করা হলেও সেটি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বন্ধ করতে সক্ষম হন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, চুরি করে বাল্যবিয়ে দিলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।