মহেশপুরের জলুলী বিলে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলুলী বিলের পুকুর ইজারা নিতে ব্যর্থ হয়ে দুর্বৃত্তরা আক্রোশে জোরপূর্বক পুকুরের মাছ ধরাসহ  বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুকুরের মালিক (লিজ গ্রহিতা) বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক সাজেদুর রহমান অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মামলার বাদী মঈন উদ্দিন তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১৮/৩/২০১৬ ইং তারিখে কোটচাদপুর উপজেলা শহরের আমজাদ হোসেনের ছেলে আনাতোর রহমান ও মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের মৃত নছর আলীর ছেলে মন্টু মিয়ার কাছ থেকে মাছ চাষের জন্য মহেশপুর উপজেলার ৫৪ নং জলুলী মৌজায় জলুলী বিলে এসএ ৬৬ নং খতিয়ানে ৯৭১ নং দাগে ২১ একর ৫০ শতক ও তার অন্যান্য মৎস ব্যবসায়ী পাটনারদের কাছ থেকে সর্ব মোট ১০০ বিঘা জমি লিজ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি গত ৩০/৩/২০১৬ ইং তারিখে উক্ত পুকুরে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৬টি হিসেবে মোট ৮০ মন রুই, কাতলা, মৃগেল ও সিলভারকার্ব মাছ ছেড়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত বিলের ইজারা নিতে ব্যর্থ হয়ে গত ১৯ এপ্রিল সকাল ৬ টার দিকে জোরপূর্বক পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করে নেয়। এরপর তারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সমস্ত মাছ নিধন করে। এতে তার প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় তিনি ১১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে ঝিনাইদহ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- যুগিহুদা গ্রামের মফিজ উদ্দিন, মহিউদ্দিন, আব্বাছ উদ্দিন, বকুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, সফিকুল ইসলাম, জলুলী গ্রামের হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মকবিল, জামাল ও আতিয়ার রহমান। বাদীর এ অভিযোগটি আমলে নিয়ে  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মো. সাজেদুর রহমান  এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।