মহেশপুরের ইউএনও’র বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: গতকাল রোববার সকালে মহেশপুর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে কর্মজীবী ল্যাকটিটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় ভাতাভোগী নির্বাচনে এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর তালিকা তৈরি কাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান কর্তৃক পৌরসভাকে অবজ্ঞা করায় এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান।তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, মহেশপুর পৌরসভা এলাকায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় ভাতাভোগী নির্বাচনে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর কিংম্বা মহিলা কাউন্সিররবৃন্দের মাধ্যমে অথবা তাদের সমন্বয়ে সভা আহ্বান না করে নিজের ইচ্ছা মাফিক মাইকিং করে ভাতাভোগীর আবেদন আহ্বান পূর্বক সাক্ষাৎকারের নামে ভাতা সংক্রান্ত আবেদনকারীগণের সাথে অশালীন ও অশোভন আচরণ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপভাবে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নির্বাচনেও পৌর মেয়র বরাবর কতোজন ভাতাভোগীর নির্বাচন করা হবে বা কতোজনের বরাদ্দ এসেছে তার কোনো পত্র বা নীতিমালা না দিয়ে হঠাৎ মিটিংয়ের দিনক্ষণ স্থির করে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পৌর পরিষদবর্গের নামে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অথচ পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দকে বিগত দিনে উপজেলায় ডেকে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। অথচ বর্তমানে চূড়ান্তকরণ নামের তালিকা পরিবর্তন করে অন্যান্য নাম সংযুক্ত করে ভাতাভোগী নির্বাচন করায় পৌর প্রতিনিধিগণ নাগরিকবৃন্দের কাছে খাটো করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে ওয়ার্ডে গরীব ও অসহায় দরিদ্র মানুষের সুখ-দুঃখে জনপ্রতিনিধিগণ ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে উক্ত ভাতার বরাদ্দপত্র এলেও মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান কালক্ষেপনের মাধ্যমে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। তিনি রেজি. ডাকযোগে ভাতাভোগী নির্বাচনের মিটিংয়ের চিঠি পাঠিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, পৌর মেয়র বা কাউন্সিলরবৃন্দ সরকারি কাজে সহযোগিতা করছেন না। যা সঠিক নয়। ফলে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি ও বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নির্বাচনে জটিলতা নিরসন এবং পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিররবৃন্দ যাতে অর্পিত দায়িত্ব পালনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে পৌর পরিষদ যাতে বাঁধাহীনভাবে জনসাধারনের সেবা করতে পারে সেজন্য সহায়তা দানে পৌর মেয়র সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মেয়র আরও বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করছেন। এমনকি তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করে মেয়রের পক্ষের তথা সরকার দলীয় লোকজনকে হয়রানি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- পৌর কাউন্সিলর হাশেম আলী পাঠান, কাজী আতিয়ার রহমান, মহিলা কাউন্সিলর জামেনা খাতুন, নাছিমা আক্তার ও নুরজাহান বেগম।