মহেশপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আজিবর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ : সিআইডির চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ নেতা টিএম আজিবর রহমান মোহনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। ২০১৬ সালের ১০ মে সকাল ৭টার দিকে আজিবর রহমান মোহন ও তার ভাই মুজিবর রহমান খোকনের সাথে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে সকালে গোলযোগ হয়। এক পর্যায় মুজিবর রহমান খোকন আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজিবর রহমান মোহন তার ভাইকে জালাল ও শাহাজাহানের সহযোগিতায় কোটচাদপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পথে বারোমাসি ব্রিজের নিকট পৌঁছুলে পোনে ৮টার দিকে মৃত্যু হয়।

পিতার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাওয়াই মোবাইল কোম্পানির ঝিনাইদহ অফিসে কর্মরত গনিউর রহমান ডলফিন বাড়িতে এসে আজিবর রহমান মোহন (৪০),  শাহাজাহান আলী (৫০), জালাল (৫৫) ও ওয়ায়েছকে (৪০) আসামি করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে মহেশপুর থানায় অপমৃত্য মামলা দায়ের হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য লাশ ময়নাতদন্তে ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়। লাশের সুরতহাল রিপের্টের পর নমুনা ভিসারা রিপোর্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মহাখালী সিআইডি দফতরে পাঠানো হয়। অপমৃত্যু মামলার মেডিকেল রিপোট না আসা পর্যন্ত হত্যা মামলা দায়ের বা আসামি আটকের দৃষ্টান্ত না থাকলেও মহেশপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আজিবর রহমান মোহনকে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক মহেশপুর থানা পুলিশ আজিবর রহমান মোহনকে গ্রেফতার করে এবং তাকে দীর্ঘদিন জেল-হাজতে রাখা হয়।

এদিকে মৃত মুজিবর রহমান খোকনের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি সিআইডির ওপর ন্যাস্ত হলে সিআইডি দীর্ঘ তদন্তের পর জানতে পারে মৃত মুজিবর রহমান খোকনের মৃত্যু কারো আঘাতে হয়নি। তিনি একজন হৃদরোগী ছিলেন। মাঝে মাঝে তিনি হার্টের চিকিৎসা নিতেন। পূর্বেও তিনি স্ট্রোক করেছিলেন।

এদিকে মেডিকেল রিপোর্টে মুজিবর রহমান খোকনের মৃত্যু ব্রেনস্ট্রোকে হয়েছে মর্মে রিপোর্ট আসলে গত ৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ সিআইডি অফিসের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা ঝিনাইদহ আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পূর্ব থেকেই ওই মামলার ১ নং আসামিসহ ৪ জনই জামিনে রয়েছেন।