মহাবিস্ফোরণের সঙ্কেত পাওয়ার দাবিতে আস্থাহীনতা

মাথাভাঙ্গা মনিটর:সম্প্রতি মহাবিশ্ব সৃষ্টির বিষয়ে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বকে সমর্থন করে এমন একটি অনন্য সাধারণ প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছিলেন একদল বিজ্ঞানী।কিন্তু গত বৃহস্পতিবার গবেষণা ফলাফল প্রকাশকালে ওই গবেষকরা তাদেরপ্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে আস্থাহীনতার কথা স্বীকার করেছেন। মহাবিস্ফোণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি হওয়ার এক সেকেন্ডেরঅত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি ভগ্নাংশের মধ্যেই মহাবিশ্বের অতিদ্রুত সম্প্রসারণ ঘটেছিলো বলে১৯৮০ দশকে বিকশিত হওয়া এক বৈজ্ঞানিক ধারণায় অনুমান করা হয়।এতে বলা হয়, মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রথম সেকেন্ডের এক লাখ কোটি ভাগের এক ভাগের এক লাখ কোটি ভাগেরএক ভাগের এক লাখ কোটি ভাগের এক ভাগ সময়ে ওই সম্প্রসারণ বা স্ফীতিঘটেছিলো।ইনফ্লাশন থিওরি বা স্ফীতিতত্ত্ব নামে পরিচিত এ তত্ত্বানুযায়ী, মহাবিশ্ব স্ফীত হওয়ার পাশাপাশি ওই সময় মহাকর্ষ শক্তির ঢেউও তৈরি হয়েছিলো যামহাবিশ্বের স্থান-কালের পোশাকে সর্বপ্রাচীন আলোর এক অদ্বিতীয় নমুনা হিসেবে আকাশেবিচরণ করছে- যা বিখ্যাত কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বলে পরিচিতিপায়।বৈশিষ্ট্যসূচক প্যাচানো নকশার আলোর সর্বপ্রাচীন এ নমুনা টেলিস্কোপেরমাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে বলে ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়েছিলো।চলতি বছরের ১৭ মার্চবিআইসিইপি২ নামের একটি প্রকল্পের সাথে জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ওই আলোরনমুনা আবিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখা এআবিষ্কারের ঘোষণা বিশ্বের বিজ্ঞান মহলে দারুণ উত্তেজনা সৃষ্টিকরেছিলো।বিআইসিইপি২ এর গবেষকরা দক্ষিণ মেরুতে বসানো একটি টেলিস্কোপ দিয়েআকাশের ছোট একটি অংশে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিলেন।