ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণের জন্য চুয়াডাঙ্গায় ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

11-08-16 dc

 

জেলায় ভিক্ষুক ১ হাজার ২২১ জীবননগর উপজেলায় ৫ জন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণের জন্য ভিক্ষুকমুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচি সংক্রান্ত কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গায় ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামীম হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান, জীবননগর নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, আলমডাঙ্গা পৌর চেয়ারম্যান হাসান কাদির গনু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ একরামুল হক মুক্তা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনি।

কনফারেন্সে জেলা পর্যায়ে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রকৃত ভিক্ষুকের তালিকা প্রণয়ন ও ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্তকরণ এবং ১ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগকে ভিক্ষুকমুক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এজন্য ভিক্ষুকের তালিকা প্রণয়ন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী বাছাই এবং ভিক্ষুকের হাতকে দক্ষ কর্মীর হাতে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে যদি কেউ ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে আটক করে কারাগার ও সংশোধনাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক সভায় জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মীদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী জেলায় ভিক্ষুকের সংখ্যা ১ হাজার ২২১। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে। এ কাজে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত সকলেই সহযোগিতা করবেন। ইতোমধ্যে গৃহহীন পরিবারের জন্য ৩ হাজার নামের তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জীবননগর উপজেলায় ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী গ্রামের সংখ্যা ৮৩টি। বর্তমানে গ্রামের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০৫টি ও একটি পৌরসভা রয়েছে সেখানে  ভিক্ষুকের সংখ্যা ৫০ জন। জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ভিক্ষুকের সংখ্যা ৫০ জন এবং সঠিক।

জীনননগর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিক্ষা দিতে দিতে আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি। ৫০ জন ভিক্ষুক কোন জরিপে পাওয়া গেছে তা আমার বোধগম্য নয়। সচেতনমহল মনগড়া জরিপের পরিবর্তে মাঠপর্যায় থেকে প্রকৃত চিত্র তুলে আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, খুলনা বিভাগকে ভিক্ষুকমুক্ত, তাদের কর্মসংস্থান ও পুর্নবাসন সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্স করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ কথা বলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সালামের সাথে। বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সালাম মেহেরপুরের ভিক্ষুকদের খোঁজ খবর নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারে বিভাগের উপ-পরিচালক হেমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মান্নাফ কবীর, মুজিবনগর মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দীন, গাংনী পৌর মেয়র  আশরাফুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শফিউল আযমসহ জেলার সরকারি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।