বিয়ের মাত্র ৮ মাসের মাথায় লাশ হলো চুয়াডাঙ্গার ধুতুরহাটের নববধূ উর্মি

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের মাত্র ৮ মাসের মাথায় লাশ হলেন ধুতুরহাট গ্রামের নববধূ হালিমা খাতুন উর্মি। পরিবারের মতের বাইরে উর্মি তার পছন্দে বিয়ে করেছিলো। বিয়ের বয়স না হলেও সে পিতার বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলো ধুতুরহাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ নয়নের সাথে। গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে উর্মির লাশ ফেলে রেখে সটকে পড়েন তার শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ও স্বামী নয়ন। এ কারণেই উর্মির মৃত্যু রহস্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরণগাছি গ্রামের ফারুক আহমেদের মেয়ে হালিমা খাতুন উর্মি সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। ৮ মাস আগে উর্মি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে একই উপজেলার ধুতুরহাট গ্রামের নয়নের সাথে বিয়ে করে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয় উর্মিকে। এ সময় জরুরি বিভাগের ডা. শিরিন জেবিন সুমি তাকে মৃত ঘোষণা করে বলেন, হাসপাতালে নেয়ার অনেক আগেই উর্মির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালে উর্মির লাশ ফেলে রেখে কৌশলে সটকে পড়েন উর্মির শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ও স্বামী নয়ন। এ সময় সচেতন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন উর্মির মৃত্যু নিয়ে। উর্মির মামা খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন, উর্মিকে তারা কৌশলে হত্যা করেছে। পরে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। লাশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। আজ ময়নাতদন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।