বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ঢাকা আসছেন আজ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে গত এক দশক থেকেই কমছে দারিদ্র্য। বর্তমানে দারিদ্র্যের এ কমতির হার বিশ্বব্যাংকের কাছে খুবই ইতিবাচকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই তো এক সময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের তিক্ততা বাড়লেও তা মলিন হতে যাচ্ছে। কারণ সেই বিশ্বব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম দুই দিনের সফরে আজ রোববার উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখতে বাংলাদেশে আসছেন। তিনি ঢাকায় বসেই আগামীকাল সোমবার ‘বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’ পালন করবেন। বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের এ কর্মসূচি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এদিকে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস সূত্র জানায়, জিম ইয়ং কিম সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করবেন। একই সঙ্গে তিনি সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি ও প্রাইভেট সেক্টরের লিডারদের সঙ্গেও দেখা করবেন। এ ছাড়া তিনি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পও পরিদর্শন করবেন।
সূত্র জানায়, ‘বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’ পালনের পাশাপাশি এক সেমিনারে ঢাকায় একটি বক্তৃতাও দেবেন জিম ইয়ং কিম। ভারতে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব নেয়া বাংলাদেশের নাগরিক জুনাইদ কামাল আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে যে ‘অনাকাক্সিক্ষত’ ঘটনা ঘটেছিলো, তা এই সফরে দূর হবে বলে তিনি আশাবাদী। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যংকের অর্থায়নের কথা থাকলেও প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে টানাপড়েনের এক পর্যায়ে তাদের বাদ দিয়েই দেশের অর্থেই সবচেয়ে বড় এই সেতুর কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। প্রথমে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত তা প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর প্রায় ৩৪ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে।
কয়েক বছর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার পর গত অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণের অর্থ ছাড় আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি করেছিলো বিশ্বব্যাংক। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সূত্র মতে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড় করে। এর আগে কখনও সংস্থাটি এক বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ছাড় করেনি। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব ঋণ ব্যয় হচ্ছে। এতে দারিদ্র্যের হারও কমছে অনেক। এসডিজি অর্জন করতে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য সম্ভব বলেও মনে করে এই বিশ্ব ঋণদাতা সংস্থাটি।