বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ

তৌহিদ তুহিন: একটু একটু করে জেকে বসেছে শীত। ঠিক তখনি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর, হোগলডাঙ্গা এলাকার গাছিরা। এক সময় বিভিন্ন গ্রামের অনেক খেজুর গাছ দেখা গেলেও কালের বির্বতে আজ আর তেমন চোখে পড়ে না। দেখা যায় না গাছিদের সেই বাদুর ঝোলার দৃশ্য।
স্থানীয় ইটভাটা গুলোতে খেজুর গাছ জ্বালানি হিসেবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তা এখন বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। আগে গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাটলেই চোখে পড়তো সারি সারি খেজুর গাছ। যদিও বা আবার ২/১টি খেজুর গাছ দেখা যায় সেগুলো দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে। এক সময় গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে শীতকালে খেজুর রসের পিঠা-পায়েস, খির থেকে গুড় করে নানা রকম মজাদার খাবার তৈরি করা হলেও এখন খেজুর রসের স্বাদ সবার ভাগ্যে জোটে না। গাছিরা তাদের শীতকালের এই পেশা ছেড়ে জড়িয়ে যাচ্ছে অন্য কাজে।
সরেজমিনে দামুড়হুদার বিষ্ণুপর গিয়ে দেখা যায় আমজাদ হোসেন নামে এক গাছি খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য গাছের বুক পরিষ্কার করতে বিষ্ণুপুর-লক্ষিপুর সড়কে। তিনি জানান, আগে খেজুরের রসের চাহিদা ব্যাপক ছিলো। এমনকি দুপুর থেকে গাছ ছিলতে ছিলতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যেতো। সেই রস বিক্রি করে ও গুড় তৈরি করে সংসার চালাতাম। এখন তেমন কোনো গাছ না থাকায় ২/৪টি গাছ ছিলে যে রস বের হয় তা বিক্রি করে কোনোভাবেই সংসার চলে না। তবুও কিছু গাছি নিজেদের অতীতের পেশা টিকিয়ে রাখতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছকে টিকিয়ে রাখতে।