বিদেশের টুকরো

 

বার্সেলোনার পর ক্যামব্রিলসেও হামলার চেষ্টা : নিহত ৫ হামলাকারী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: স্পেনের বার্সেলোনায় প্রথম দফা সন্ত্রাসী হামলার পর পার্শ্ববর্তী শহর ক্যামব্রিলসেও দ্বিতীয় দফা হামলা ঠেকিয়ে দেয়ার দাবি করছে দেশটির পুলিশ। এ সময় ৫ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যার খবরও জানাচ্ছে তারা। এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বার্সেলোনার পর্যটন এলাকা লাস রামব্লাসে পথচারীদের ভিড়ে ভ্যান উঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় ১৩জন নিহত হয়। ওই ঘটনায় আরো অন্তত ৮০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে এক বার্তায় তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীটির সংবাদমাধ্যম ‘আমাক’ এর মাধ্যমে তারা জানায়, ‘ইসলামিক স্টেটের সেনারা এ হামলা চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ ‘অপারেশন’ চালানো হয়েছে।’ তবে এ দাবির পক্ষে কোনো তথ্য দেয়নি আইএস। জানা গেছে, এই হামলার পর স্থানীয় সময় মধ্যরাতে কাতালোনিয়ার উপকূলীয় শহর ক্যামব্রিলসের কাছে দ্বিতীয় হামলার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। ক্যামব্রিলস পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার চেষ্টাকালে গুলি করে চারজনকে মারা হয়েছে। এর মাধ্যমে হামলাটি ঠেকানো গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ সময় গুলিতে আহত হয়েছে আরেক হামলাকারী। পরে সেও মারা যায়। এ ঘটনায় ৬ পথচারী ও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। হামলাকারীরা বিস্ফোরক ভর্তি বেল্ট পরে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

ওয়েটার বানর!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্রেতা আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। তবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এবার জাপানের একটি বার মালিক অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করেছে। বার কর্তৃপক্ষ ওয়েটার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বেশ কিছু বানরকে। তাতে ফলাফলও হাতেনাতে পাচ্ছেন কায়াবুকি বারের মালিক কাওরু ওটসুকা। ওয়েটার হিসেবে বানরদের নিয়োগ দেয়ার পর ক্রেতাদের ভিড় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কাওরু ওটসুকা জানান, বেশ কিছু বছর আগে এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বানর ফুকু-চানকে পান তিনি। সারাক্ষণই ফুকু-চানকে সাথে রাখতেন তিনি। প্রথম দিকে ক্রেতাদের কোমল পানীয় কিংবা টিস্যুর মতো ছোটখাটো জিনিসপত্র পরিবেশন করতো ফুকু-চান। এক সময় মনে হলো ক্রেতাদের থেকে অর্ডার নেয়া এবং ড্রিংক সরবরাহের জন্য ফুকু-চানকে কাজে লাগানো যায়। বেশ সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে লাগলো ফুকু-চান। এরপর আরো কয়েকটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বানর নিয়োগ দেন তিনি। এই বানরদের বাচ্চারাও নিয়মিত বারে আসে। তবে তারা শুধু ক্রেতাদের সাথে ফটোসেশনেই অংশ নেয়। ক্রেতারাও বানর ওয়েটারদের সাথে দারুণ সময় উপভোগ করেন।

 

 

ইসলাম গ্রহণ করে রাজকন্যাকে বিয়ে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মালয়েশিয়ায় নেদারল্যান্ডসের এক যুবক ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম রাখা হয়েছে ডেনিস মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। নেদারল্যান্ডসের এ  যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর বিয়ে করলেন মালয়েশিয়ার জোহোর রাজ্যের সুলতান ইব্রাহিমের একমাত্র কন্যা প্রিন্সেস তুংকু তুন আমিনাহ মাইমুনাহ ইস্কান্দারিয়াকে। সোমবার জোহোর রাজ্যের রাজধানী জোহোর বাহরুতে রাজপ্রাসাদে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তাদের বিয়ে হয়। রাজকন্যার স্বামী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ রাজপুত্র নন, তিনি এক ডাচ ব্যবসায়ীর পুত্র এবং তার পেশাও ব্যবসা। প্রিন্সেস আমিনাহ তার স্বামীর চেয়ে তিন বছরের বড়। তার বয়স ৩১ বছর এবং স্বামী মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বয়স ২৮ বছর। তিন বছর আগে তাদের দেখা হয় এবং প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন। প্রিন্সেসকে কাছে পেতে ২০১৫ সালে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। এরপর তাদের বিয়ের আলোচনা শুরু হয়।

 

মডেলকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন ফার্স্ট লেডি!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ আফ্রিকার এক মডেলকে হোটেল রুমে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে জিম্বাবুয়ের ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই তরুণী মডেলের নাম গ্যাব্রিয়েলা ইঙ্গেলস (২০)। গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন এলাকার ক্যাপটাল ২০ ওয়েস্ট হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবে (৫২) দেশটিতে পায়ের গোড়ালির চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় মডেল গ্যাব্রিয়েলা গত সোমবার আদালতে ফার্স্ট লেডির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্যাব্রিয়েলা ইঙ্গেলসের অভিযোগ, রোববার সন্ধ্যায় হোটেলের রুমে তিনি দুই তরুণের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এমন সময় জিম্বাবুয়ের ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবে তার দুই ছেলের সাথে দেখা করতে যাওয়ার অভিযোগ তুলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তার কপাল রক্তাক্ত হয়েছে। কপালে ক্ষত ও রক্তের ছবি তুলে গ্যাব্রিয়েল অনলাইনে পোস্টও করেছেন। এ ব্যাপারে জিম্বাবুয়ের ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।