বিদেশি টুকরো

হামলা বলে দিচ্ছে অভিবাসন আইন সংস্কার কতোটা জরুরি: ট্রাম্প

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিউ ইয়র্কে ম্যানহ্যাটনের বাস টার্মিনালে বোমা হামলার ঘটনা বলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আইন সংস্কার করা কতোটা জরুরি। গত সোমবারের হামলার পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, চেইন মাইগ্রেশন নামে পরিচিত মার্কিন নীতির বদৌলতে ফ্যামিলি ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলো ম্যানহাটনে হামলাকারী ওই যুবক।

ওই অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় মন্তব্য করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ওই নীতি পরিবর্তনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচিত অভিবাসন আইন সংস্কার করা। গত সোমবার সকালে অফিসযাত্রীদের ভিড়ের সময়ে ম্যানহাটনের পোর্ট অথরিটি বাস-টার্মিনাল ও টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী টানেলে ঘরে তৈরি বোমায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেন এক যুবক। ওই ঘটনায় আকায়েদ উল্লাহ নামের ২৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবককে দায়ী করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও চাদ-মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ছয় দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

যৌন হয়রানির অভিযোগে ট্রাম্পের পদত্যাগ চান দুই ডেমোক্রেট সিনেটর

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ডেমোক্রেট সিনেটর। তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। এই অভিযোগে তার পদত্যাগ করা উচিত। সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগে ডেমোক্রেট সিনেটর অ্যাল ফ্রাঙ্কেন পদত্যাগ করেন। ডেমোক্রেট সিনেটররা বলেন, ফ্র্যাঙ্কেন যদি অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন তাহলে ট্রাম্প কেন পদত্যাগ করতে পারবেন না? গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছিলেন, তারা ট্রাম্প কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

কিন্তু ট্রাম্প সেই সময় সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি এসব নারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এরপর আর সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জাতির কাছে ক্ষমা চান: মোদিকে মনমোহন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গুজরাতে জমানা বদলের পাকিস্তানি চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ঘরে-বাইরে আক্রমণের মুখে নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গাঁন্ধী তো বটেই, ভোটে পাকিস্তানকে টেনে আনায় সরব সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকও। বিজেপির শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে শরিক শিবসেনা নেতৃত্বও মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তবে মোদিকে এদিন সব থেকে শাণিত আক্রমণটি করেছেন মনমোহন সিংহ। ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তুলে পূর্বসুরির মন্তব্য, ‘গুজরাতে হারের আতঙ্কে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী খড়কুটো আঁকড়ে ধরতে চাইছেন।’ মনমোহন বলেন, ‘আশা করি, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদের যোগ্য পরিণতিবোধ ও গরিমা রাখবেন। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের হৃত সম্মান পুনরুদ্ধার করবেন।’
গতকাল রোববার গুজরাতের প্রচারে মোদি অভিযোগ করেন, ‘পাক সেনার প্রাক্তন ডিজি গুজরাতের ভোটে নাক গলাচ্ছেন। পাকিস্তানের লোকেরা মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে বৈঠক করছেন। তার পরে মণিশঙ্কর আমাকে নীচ বলছেন। এতে কি সন্দেহ হয় না?’ গতকাল গুজরাতের প্রচারে গিয়ে রাহুল গাঁন্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কখনও পাকিস্তান নিয়ে বলেন, কখনও চীন-জাপান নিয়ে। গুজরাতের ভোটে গুজরাত নিয়ে কিছু বলুন!’

‘ট্রাউজার’ পরায় ২৪ নারী গ্রেফতার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ট্রাউজার পরে পার্টিতে যাওয়ায় সুদানে গ্রেফতার হলেন ২৪ মহিলা। আপদমস্তক নিজেকে বোরখায় ঢেকে না রাখাও অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী শহর খার্তুমে।

জানা গেছে ‘অশ্লীলতা’র অভিযোগে অভিযুক্ত ওই ২৪ মহিলা ট্রাউজার পরে পার্টিতে গিয়েছিলেন। যদিও সেই পার্টি অভিযুক্তদের অত্মীয়পরিজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ট্রাউজার ও খাটো স্কার্ট সুদানে অশ্লীল পোশাক বলে মনে করা হয়। যে কারণে জনসমক্ষে মেয়েদের ট্রাউজার ও খাটো স্কার্ট পরে বেরোনো নিষিদ্ধ। অশ্লীল উল্লেখ করে ১৯৯১ সাল থেকে অপরাধমূলক আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেউ তা লঙ্ঘন করলে, শাস্তি হিসেবে ৪০ ঘা বেত্রাঘাত ও আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ জানাচ্ছে, সুদান পাবলিক ওর্ডার অ্যাক্টের আওতায় মেয়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।