বিদেশি টুকরো

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রস্তাব পাস

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চালানো নিধনযজ্ঞ ও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।  গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কাউন্সিলের ৩৩ সদস্য দেশের ‘হ্যাঁ’ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ‘না’ ভোট দিয়েছে তিনটি দেশ। বরাবরের মতো চীন মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করে ‘না’ ভোট দিয়েছে। অন্য দেশ দুটি হলো ফিলিপাইন ও বুরুন্ডি। ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারতসহ নয়টি দেশ। প্রস্তাব পাসের ভোট প্রক্রিয়ায় মোট ৪৫টি দেশ অংশ নেয়।

প্রস্তাবে গত ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নিধনযজ্ঞের কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার জন্য দায়ী সেনা ও উগ্রপন্থীদের বিচারের মুখোমুখি করতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, সেনা অভিযান বন্ধ করতে হবে। সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের মুখে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের মানবাধিকারের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে। মানবাধিকার রক্ষায় মিয়ানমারকে প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর থার্ড কমিটি নামে পরিচিত জাতিসংঘের সামাজিক, মানবিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক ফোরামে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ওই প্রস্তাবে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসকে মিয়ানমার বিষয়ে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে বলা হয়।

হন্ডুরাসে বিতর্কিত নির্বাচন : ভোট পুনর্গণনার দাবি বিরোধীদের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হন্ডুরাসে বামপন্থি বিরোধীদল গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দল নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে এবং রাজপথে ব্যাপক আন্দোলন বিক্ষোভ করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা ম্যানুয়েল জেলায়া এই দাবি জানান। কিন্তু এরপরই ভোট গণনা একাধিকবার বিলম্বিত হয়। এর কারণে হিসেবে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটার সমস্যার কথা উল্লেখ করে। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম ইলেক্ট্রোরাল অথরিটি জানায়, হার্নান্দেজ ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং নাসরাল্লা ৪১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তবে তারা বিজয়ীর নাম ঘোষণা না করে জানায়, এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে। এক কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত মধ্য আমেরিকার ছোট দেশটিতে ২৬ নভেম্বরের এই নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। দেশটিতে বিরোধীদলের সঙ্গে সরকারি সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ চলছে। ভোটগ্রহণ শেষের প্রথম কয়েকঘণ্টা পর মনে করা হচ্ছিলো বিরোধীদলীয় প্রার্থী সাবেক টিভি উপস্থাপক সালভাদর নাসরাল্লা খুব সহজেই জয়লাভ করতে যাচ্ছেন।

স্ত্রী-শ্যালিকাকে গুলি করে বিএসএফ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের হারিয়ানায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডো অফিসার জিতেন্দ্র যাদব(৩৪)। জিতেন্দ্র যাদব গত দুই বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার হারিয়ানার গুরুগ্রামে বিএসএফ ক্যাম্পে স্ত্রী গুড্ডন ও শ্যালিকা খুশবুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন ওই কর্মকর্তা। পুলিশ জানিয়েছে, বছর দুয়েক ধরে বিএসএফে  কর্মরত ছিলেন জিতেন্দ্র। ক্যাম্পের ৪২ নম্বর ফ্ল্যাটেই পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তদন্তকারী অফিসার রাহুল কুমার বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে জিতেন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে জিতেন্দ্রের স্ত্রী গুড্ডন ও শ্যালিকা খুশবুকে।

পেটে গুলি লাগলেও কোনোরকমে বেঁচে যান জিতেন্দ্রের স্ত্রী ও শ্যালিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালের আইসিইউয়ে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

সিরিয়ায় ইরানি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধের হুমকি ইসরাইলের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ায় ইরানি সেনাদের সঙ্গে যেকোনো সময় পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন ডেরমার। পলিটিকোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ায় ইরানি সেনাদের উপস্থিতি ইসরায়েল মেনে নেবে না বলে জানান রন ডেরমার। তিনি বলেন, ‘ইরান সিরিয়া থেকে সেনাদের গুটিয়ে না নিলে সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা খুব বেশি। এটা হতে এক বছর লাগবে, না এক মাস লাগবে- তা বলতে পারছি না। এটা এক সপ্তাহের মধ্যেও হতে পারে।’ সিরিয়ায় উত্তেজনা বাড়ার জন্য ইরানকে দায়ী করে ডেরমার বলেন, ‘তারা যত এগিয়ে আসবে আমাদেরও ততই সীমান্তে জোর দিতে হবে। আপনি সবসময় সেখানে এক ধরনের উস্কানি দেখতে পাবেন। যদিও সেখানকার দলগুলোই উসকানি চায় না। তাই আমরা ইরানের প্রভাব বাড়ার মধ্যদিয়ে সিরিয়ায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরেকটি সন্ত্রাসকে মেনে নেব না।’