বিদেশি টুকরো

নেপালে বন্যা ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নেপালে ভারীবর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে কারণ আরো বহুসংখ্যক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আরও ১৭ জন আহত হয়েছে এই দুর্যোগে। নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের সমতল ভূমিতে সৃষ্ট এই বন্যায় ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার বলা হয়েছিলো, ৩০ জন মানুষ বন্যা ও ভূমিধসে মারা গেছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে, প্রায় ৩৪ হাজার বাড়ি ডুবে গেছে। নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনার্দন শর্মার বিশেষ সহকারী লক্ষী পান বলেন, মৃতর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এখনো আমরা চূড়ান্ত হিসাব সম্পূর্ণ করিনি। রেডক্রসের হিসাবানুযায়ী এই দুর্যোগে এক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণে নিহত ১৫

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের কোয়েটা নগরীতে শনিবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ট্রাকে বোমা বিস্ফোরণে আট নিরাপত্তাকর্মীসহ ১৫ জন নিহত ও অপর ৩০ জন আহত হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা একথা জানান। কোয়েটার পাশিন চকের একটি ব্যস্ত এলাকায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে এ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর সিনহুয়ার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণে নিহত ১৫ জনের মধ্যে অন্তত আট নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। বিস্ফোরণের পর উদ্ধারকারী দল, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা আহতদের নগরীর সিভিল হসপিটালে পাঠায়।

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় সেনাসহ নিহত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় ১২ ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে দুই ভারতীয় সেনা ও ৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের মহাপরিচালক এসপি ভাইদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, শনিবার হিজবুল মুজাহিদীনের তিন জঙ্গি রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রামে অভিযান শুরু করে। এক সময় জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি করে। বন্দুক যুদ্ধ রবিবার সকাল পর্যন্ত চলে। এসপি ভাইদ বলেন, এনকাউন্টারে ৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। আমরা দুই কর্মকর্তাকে হারিয়েছি এবং ৩ জন সেনা সদস্য আহত হয়েছে।

ভারতে ভূমিধসে জনের মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় পার্বত্য অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিধসে দুটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে গভীর খাদে পড়ে অন্তত সাত জন মারা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছে আরও ২০ জন। হিমাচল প্রদেশে শনিবার মাঝরাতের দিকে বাসদুটি চা খাওয়ার জন্য যাত্রা বিরতি করে। এ সময় ভূমিধস হয়। রাজ্যের রাজধানী শিমলা থেকে প্রায় ২শ কিলোমিটার দূরের রাস্তা কয়েকটন পাথর ও কাদামাটিতে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা রাতের আঁধারেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এর কয়েকঘণ্টা পর সেনা সদস্যরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। ঘটনাস্থল থেকে সিনিয়র কর্মকর্তা সন্দীপ কদম বলেন, ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া(পিটিআই) জানায়, এই দুর্ঘটনায় ৩০ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।