বিদেশি টুকরো

ভেনিজুয়েলায় কারাগারে দাঙ্গা-অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬৮

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভেনিজুয়েলার উত্তর প্রদেশের একটি পুলিশ স্টেশনে দাঙ্গার জেরে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছে। গত বুধবার কারাবোবো প্রদেশের ভেলেনসিয়ায় স্থানীয় সময় রাতে বন্দিরা আগুন ধরিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে পালাতে চেষ্টা করলে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তারা হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বন্দিরা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে পালানোর জন্য নিজেদের সঙ্গে থাকা জিনিসে আগুন আগুন ধরিয়ে দিলে মুহূর্তের মধ্যে তা পুরো স্টেশনে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বন্দিদের স্বজনরা ওই স্টেশনের বাইরে এসে জড়ো হন। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে স্টেশন আক্রমণ করতে চাইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কতোজন মারা গেছেন তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন ফরেনসিক চিকিৎসকরা। অগ্নিকাণ্ডের পর তীব্র ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন অনেকে। বন্দিদের দেখতে যাওয়া অনেক স্বজন ও শিশুও নিহতদের মধ্যে রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তালেবান হামলার পর প্রথম দেশে ফিরলেন মালালা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: তালেবানদের হামলার শিকার হয়ে দেশ ছাড়ার প্রায় ছয় বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরলেন মালালা ইউসুফজাই। মালালা ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছুলে সেখান থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০ বছর বয়সী মালালা মেয়ে শিশুদের শিক্ষার প্রচার, প্রসার ও তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নোবেল পান। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সর্বকনিষ্ঠ নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া মালালা পাকিস্তানে চারদিনের সফর করবেন। তিনি তার মালালা ফান্ড গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। ইসলামাবাদে থাকাকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত সোয়াত উপত্যকায় জন্ম নেয়া মালালা ২০১২ সালের অক্টোবরে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার সময় তাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ওই হামলার দায় স্বীকার করে। মূলত নারী ও শিশু শিক্ষার পক্ষে কথা বলার কারণেই তার ওপর এ হামলা চালানো হয়।

বাংলাদেশের আদলে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভুয়া সুইফট মেসেজের মাধ্যমে অনুনোমোদিত অর্থ স্থানান্তরের চেষ্টা শনাক্ত করার পর তারা তা ঠেকিয়ে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ওই হ্যাকিং চেষ্টায় তাদের কোনো আর্থিক ক্ষতি হয়নি। অর্থ স্থানান্তরের ওই অনুরোধ সুইফটের গ্লোবাল পেমেন্টস নেটওয়ার্ক থেকে এসেছিলো কি না, তা স্পষ্ট করেনি মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও তারা প্রকাশ করেনি। বিবৃবিতে বলা হয়েছে, সুইফট এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুনোমোদিত অর্থ স্থানান্তরের সব চেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে আটকে দিয়েছে ।

আর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার একই কায়দায় চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। তার মধ্যে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা গেলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে এখনো তেমন অগ্রগতি নেই। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ রুবল চুরি যায়।

উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে উধাও বাংলাদেশি যুবক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এ যেন দক্ষিণী সিনেমার গল্প। তবে গল্প নয়, একেবারে কঠোর বাস্তব। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছে যুবক। সে কিশোরী আবার উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী এসপি সিং বাঘেলের বোন। সম্পদ অধিকারী নামের ওই যুবক উত্তরপ্রদেশ থেকে মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে পালিয়ে আসে উত্তর ২৪ পরগনায়। প্রথমে বারাসতে এসে ঠাঁই নিলেও পরে আর তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ইউপি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মন্ত্রী ও তার ভাইয়েরা। সমস্ত রাজ্যে দু’জনের ছবি দিয়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সীমান্তেও নজরদারি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধরা পড়লে সম্পদের কী পরিণতি হবে তা আন্দাজ করা কঠিন নয়। তবে তার এই দুঃসাহসিক কীর্তি যে সিনেমার গল্পকেও হার মানাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা সম্পদ। সেখানে থেকে ভারতে এসে প্রভাবশালী মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে পালানো, তাজ্জব হওয়ার মতো ঘটনা।