বিদেশি টুকরো

আমাকে চুপ থাকার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছিলো

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে চুপ থাকার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। পর্নো জগতে এই নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম স্টিফেনি ক্লিফোর্ড। মার্কিন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে ক্লিফোর্ড বলেছেন, ২০১১ সালে লাস ভেগাসের একটি গাড়ির পার্কিংয়ে একজন ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে এসে বলেন, ‘ট্রাম্পকে ঘাঁটিয়ো না। এরপর ওই ব্যক্তি তার সঙ্গে থাকা ছোট মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, এটা খুব দুঃখজনক হবে যদি তার মায়ের কিছু ঘটে যায়। তবে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কোনো সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। ক্লিফোর্ড বলেছেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্প তার হোটেলে স্যুটে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানানোর পর যৌন সংসর্গের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প তাকে তার ছবি ছাপানো একটি ম্যাগাজিনের কভার দেখান। তিনি বলেছেন, যৌন সম্পর্ক হলেও ট্রাম্পের প্রতি তার আকর্ষণ ছিলো না।

মিসরে নির্বাচনে জয় পাচ্ছেন সিসি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। নির্বাচনে সহজেই জয় পেতে যাচ্ছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। তবে ভোটের হার নিয়ে চিন্তায় আছেন সিসি। তার মূল লক্ষ্য ভোটের হার বাড়ানো। মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি। কেউ জেলে গেছেন, কেউবা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সিসি ভোটারদের সবাইকে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, এটা কেবল গণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়, তার শাসনামল নিয়ে গণভোটও।

ভোট কেন্দ্রগুলো তিন দিন ধরে খোলা থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশ সিসিকে সমর্থন দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে যে অস্থিতিশীলতা মিসরে চলছে তা কঠোরভাবে সামাল দিচ্ছেন সিসি।

বিভিন্ন দেশ থেকে শতাধিক রুশ কূটনৈতিক বহিষ্কার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিভিন্ন দেশ থেকে ১০০ জনের বেশি রুশ কূটনৈতিক কর্মকর্তা বহিষ্কার করা হয়েছে। সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ের ওপর সোভিয়েত আমলের দুর্লভ নার্ভ এজেন্ট দিয়ে আক্রমণ করার প্রেক্ষিতে এমাসের শুরুতে ২৩জন রুশ কূটনৈতিক বহিষ্কার করে যুক্তরাজ্য। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন রুশ কূটনীতিকরা।

তবে সবচেয়ে বেশি মোট ৬০ জন কূটনীতিক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, এই প্রথম রাশিয়ার এতো বেশি সংখ্যক কূটনীতিককে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে একসঙ্গে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে কাউকে হত্যার চেষ্টাকে খুবই দুঃখজনক বলে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।

গায়ের রঙ দেখে নাগরিকত্ব দেয়া হয় যে দেশে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: টনি হেজ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন লাইবেরিয়াতে। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বিয়ে করেছেন। সফল ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। লাইবেরিয়াতে যখন যুদ্ধ সহিংসতা হয়েছে, সেদেশেরই অনেক নাগরিক তখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও, তিনি কোথাও যাননি। কিন্তু তারপরও হেজ সেদেশে একজন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। নাগরিক বলাও ঠিক নয়, কারণ এতো বছরেও তিনি সেখানে নাগরিকত্ব পাননি। কারণ তার গায়ের রঙ কালো নয় এবং তার পিতৃপুরুষের দেশ লেবানন।

পশ্চিম আফ্রিকায় রাষ্ট্র হিসাবে লাইবেরিয়া প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো আমেরিকাতে মুক্তি পাওয়া দাসদের জন্য। তারা যাতে আফ্রিকায় ফিরতে পারে। ঐতিহাসিক কারণেই তখন সেদেশের প্রথম সংবিধানে একটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছিলো যে কোনো ব্যক্তি যদি আফ্রিকান বংশোদ্ভূত না হন, তাহলে তিনি লাইবেরিয়াতে নাগরিকত্ব পাবেন না।