বিদেশি টুকরো খবর

মোদীর পাঠানো শেষ চিঠি মন ছুঁয়ে গেছে : প্রণব মুখার্জি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আপ্লুত প্রণব মুখার্জি। রাষ্ট্রপতিত্বের শেষ দিনে একটি চিঠি পৌঁছেছিলো তার কাছে। দু পাতার ছিলো সেই চিঠিটি। এতে তার মন এতোটাই ছুঁয়ে যায় যে অবসর নেয়ার দিন দশেক পরেও চিঠির কথা তার মনে অনুরণিত হচ্ছে। চিঠিটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিজের ‘পিতৃসুলভ ব্যক্তিত্ব’ বলে সেখানে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির রাজনীতি যখন একেবারেই অচেনা ছিল তার কাছে, তখন প্রণব মুখার্জি কীভাবে অভিভাবকের মতো পথ দেখিয়েছেন, মোদী সে কথা অকপটে লিখেছেন চিঠিতে। অভিভূত প্রণব মুখার্জি গতকাল টুইটারে তুলে ধরেছেন শেষ দিনে পাওয়া সেই চিঠির কথা। রাষ্ট্রপতিত্বের শেষ দিনে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে একটা চিঠি পেয়েছি, যা আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে গিয়েছে! এই কথা লিখেই চিঠিটি টুইট করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সারা জীবন রাজনীতির অলিন্দে কাটানো কোনো ব্যক্তিত্বের জন্য অবসরের দিনে ওই রকম এক চিঠি পাওয়া যে সত্যিই আপ্লুত হওয়ার মতো বিষয়, তা চিঠির বয়ানে স্পষ্ট। তিন বছর আগে আমি দিল্লিতে এসেছিলাম একজন বহিরাগত হিসেবে। আমার সামনে তখন বিপুল এবং চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো। সে সময় আপনি আমার পিতৃসুলভ ব্যক্তিত্ব এবং পরামর্শদাতা হয়ে উঠেছিলেন। আপনার জ্ঞান, পথপ্রদর্শন এবং ব্যক্তিগত উষ্ণতা আমাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস ও শক্তি যুগিয়েছিলো। লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন : মারাত্মক হুমকিতে দক্ষিণ এশিয়া

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে তাপ ও আর্দ্রতার মারাত্মক হুমকিতে দক্ষিণ এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ হিসেবে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মানুষেরা এর বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কার্বন নিঃসরণ কমানো না যায়, তবে ২১০০ সাল নাগাদ মানুষের বেঁচে থাকার শেষসীমায় পৌঁছে যাবে তাপমাত্রা। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির ভয়াবহতায় দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষের বসবাস অসহনীয় হয়ে উঠবে। কেননা তাপমাত্রা  এভাবে বাড়তে থাকলে আর্দ্রতাপ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে, যা মানুষের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ।  সাধারণত দুই উপায়ে চরম আর্দ্রতা ও উষ্ণতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হল উষ্ণতা নির্ণায়ক থার্মোমিটার আর অপরটি হল আর্দ্রতা নির্ণায়ক থার্মোমিটার (ওয়েট ভাল্ব থার্মোমিটার)।

অস্ট্রেলিয়ায় হামলার আশঙ্ক্ষায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার

মাথাভাঙ্গা মনিটর অস্ট্রেলিয়ায় বিমান ভূপাতিত করার সন্ত্রাসী পরিকল্পনা নস্যাৎ এর পর কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তবু দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ঘাটতির আশংকা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পাইলট ইউনিয়নও শঙ্কিত। বিমান ভূপাতিত করার পরিকল্পনার অভিযোগে গত শনিবার সিডনি থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরপরই কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। তবে পাইলটরা জানান, এয়ার ক্রু, রিটেইল ওয়ার্কার ও যাত্রীদের পাশাপাশি পাইলটদের তল্লাশি করা হলেও গ্রাউন্ড স্টাফদের একইভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে না। তারা বলেন, বিমানবন্দরের সকল স্টাফকে একইভাবে তল্লাশি করা হলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার হবে বলে আমরা মনে করি।

পৃথিবী ঘিরে ঘুরছে দেড় ইঞ্চির মহাকাশযান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাত্র দেড় ইঞ্চির মহাকাশযান। কোথায় তার ইঞ্জিন বা কোথায় ক্যামেরা। কি করে উড়ে বেড়াতে পারে এমন ছোট্ট যন্ত্র। বিয়টি রীতিমতো অবাক করা হলেও এমন ৬টি মহাকাশযান পৃথিবীর চারদিকে বিচরণ শুরু করেছে। ওই ৬টা মহাকাশযান কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে গত ২৩ জুন থেকে। রুশ কোটিপতি ইউরি মিলনারের ‘ব্রেকথ্রু স্টারশট’ প্রকল্পের অধীনে এ মহাকাশযান তৈরি করা হয়েছে। ‘ব্রেকথ্রু স্টারশট’ প্রকল্প থেকে নিউইয়র্ক আর ক্যালিফোর্নিয়ার দু’টি গ্রাউন্ড স্টেশনে সিগন্যালও পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে ওই পুঁচকে মহাকাশযানগুলো। এর আগে এত ছোট কোনো যান আর কখনও মহাকাশে পাঠানো হয়নি। ক্ষুদ্রতম মহাকাশযানের নাম স্প্রাইট। যা অনেকটা মোবাইল ফোনের চিপের মতো। আয়তনে দেড় ইঞ্চি (সাড়ে ৩ সেন্টিমিটার) লম্বা ০ দশমিক ৪৭২ ইঞ্চি (১২ মিলিমিটার) পুরু। আর ওজনে ৫০ পয়সার কয়েনের  চেয়ে সামান্য একটু বেশি; মাত্র ৪ গ্রাম। চলে শুধুই সৌরশক্তিতে। তাই চলতে কোনো খরচ নেই।