বিদেশি টুকরো কবর

আবারও উচ্চ সতর্কতা জারি অস্ট্রেলিয়ার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশে আবারও নতুন করে ভ্রমণের ওপর উচ্চ মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড গতকাল শুক্রবার এই সতর্কতা জারি করেছে। আগামী ১৭ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচকে সামনে রেখে এ সতর্কতা জারি করা হলো। সর্বশেষ এ সতর্কবার্তায় বলা হয়, ফুটবল খেলা উপলক্ষে যেসব অস্ট্রেলীয় উপস্থিত থাকবেন, তাদের বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার উচ্চমাত্রার ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। এছাড়া ঝুঁকি নিরসনে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এতে অস্ট্রেলীয়দের রাতে ঘুরাঘুরি থেকে বিরত থাকা, কেবল যানবাহনে চলাফেলা করা এবং বার, হোটেল ও পশ্চিমারা যেসব স্থান ও অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সেসব স্থানসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে যাতায়াত সীমিত রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়। নতুন এ সতর্কবার্তায় অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়, সতর্কতার মাত্রা পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশে আপনাদের উচ্চমাত্রার সতর্কতা চর্চা করা উচিত।

 

লেবাননে আইএসের বোমা হামলায় নিহত ৪১

মাথাভাঙ্গা মনিটর: লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠের বোর্জ আল-বারাজানেহ এলাকার একটি নিরাপত্তা চৌকির কাছে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন।  এ সময় কয়েক প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। লেবাননের আল-মানার টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, দু সন্ত্রাসী ওই বোমা হামলা চালায়। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ায়েল আবু ফাউর জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ৪১ জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। তিনি জানান, আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আল-মানারের খবরে বলা হয়েছে, ২০ মিটার দূরত্বে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার লেবাননে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী তাম্মাম সালাম হামলার নিন্দা ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ বোমা হামলার পর এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে। সংগঠনটি বলেছে, সন্ত্রাসীদের সাথে এটি আমাদের দীর্ঘ লড়াই।

 

সেই জিহাদি জনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বেশিরভাগ পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদকারী জিহাদি জনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এ কুখ্যাত জঙ্গি নিহত কয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এ তথ্য জানিয়েছে। পেন্টাগন জানায়, কুয়েতি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মোহাম্মদ এমওয়াজিকে (জিহাদি জন) লক্ষ্য করে সিরিয়ার রাক্কা এলাকার কাছে বৃহস্পতিবার ওই বিমান হামলা চালানো হয়। জিহাদি জন হামলায় নিহত হয়েছেন কি-না, তা এখনো যাচাই করছে পেন্টাগন। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ওই গাড়িতে জিহাদি জন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র বলেছেন, এমওয়াজিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলার বিষয়ে মার্কিন বিবৃতি সম্পর্কে তারা অবগত। যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও এখনই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।

 

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তালেবান কমান্ডার নিহত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আফগানিস্তানের তালেবান সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের একজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার নিহত হয়েছে। নিহত এ সিনিয়র কমান্ডারের নাম মোল্লা মানসুর দাদুল্লাহ। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাবুল শহরের নিরাপত্তা প্রধান গোলাম জাইলানি ফারাহি জানান, তালেবানের বর্তমান নেতা মোল্লা মানসুর আখতারের অনুগত গোষ্ঠীর হাতে দাদুল্লাহ বুধবার রাতে নিহত হয়েছে। এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের আঞ্চলিক কমান্ডার জানিয়েছে, দলছুট নেতা মোল্লা মোহাম্মাদ রাসুলের পক্ষের সিনিয়র কমান্ডার দাদুল্লাহ তার নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছে। ওই দেহরক্ষী মোল্লা মানসুরের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত ছিলো। তবে মোল্লাহ রাসুল গ্রুপের মুখপাত্র মোল্লাহ আব্দুল মান্নান নিয়াজি এ খবর নাকচ করে দিয়েছে। তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মোল্লা দাদুল্লাহ বেঁচে আছে এবং তিনি নিরাপদেই রয়েছে। মোল্লা মানসুর সম্প্রতি জাবুল শহরে দাদুল্লাহর বিদ্রোহ ঠেকাতে তার অনুগত শ শ তালেবানকে পাঠিয়েছেন। তালেবান নেতা মোল্লা ওমর মারা যাওয়ার পর আফগান তালেবানের মধ্যে ব্যাপক আন্তঃকলহ দেখা দিয়েছে। মোল্লা মানসুরকে নেতা ঘোষণা করা হলেও অনেকেই তা মানতে চাইছে না। মোল্লা রাসুলকে নেতা বানিয়ে এরইমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী একটি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে।