বিএনপির নিবন্ধন বাতিল ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের দাবি সংসদে

 

স্টাফ রিপোর্টার: কানাডার ফেডারেল আদালতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দেয়ার পর বাংলাদেশেও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি উঠেছে সংসদে। বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দল তরীকত ফেডারেশনের নেতা সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এই দাবি করেন। একই সাথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের দাবিও জানান মাইজভাণ্ডারী, যিনি নিজেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস‌্য হয়েছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করে কানাডার ফেডারেল কোর্ট সম্প্রতি এক রায়ে বলে, বিএনপি সন্ত্রাসে ছিলো, আছে বা ভবিষ্যতেও থাকতে পারে- এমন ধারণা করার যৌক্তিক কারণ আছে।  মাইজভাণ্ডারী বলেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এই বিএনপি গত নির্বাচনের আগে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নারী-শিশুরা এখনও কাতরাচ্ছে। আমরা বারবার বলেছি, যারা যুদ্ধাপরাধী-সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়, তারাও সন্ত্রাসী। নিজের এক সময়ের দল বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুলে তিনি বলেন, আল্লাহর গজব পড়েছে। বিদেশের মাটিতে এখন বিএনপিকে সনদ ধরিয়ে দিয়েছে। জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য যেমন তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। বিএনপিরও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস‌্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ১৯৯৬ সালের ভোটে বিএনপির হয়ে সংসদ সদস‌্য ছিলেন। পরে তিনি বিএনপি ছেড়ে তরীকত ফেডারেশন গড়েন, এখন সেই দল আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী। বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মাইজভাণ্ডারী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের বিচার করতে হবে। যেসব নেতারা এর সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। খালেদা জিয়াকেও গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি আমি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের শুরু থেকে বিএনপির ডাকে টানা তিন মাসের হরতাল-অবরোধে ব্যাপক সহিংসতায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্য হয়।