বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিচ্ছে জাতিসংঘ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিচ্ছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি পদাতিক বাহিনীর ৮৫০ সদস্যের একটি সমন্বিত শান্তিরক্ষী দল পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনকে পত্র দিয়েছে জাতিসংঘ সদর দফতরের ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নুর এলাহি মিনা স্বাক্ষরিত এক বার্তায় একথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানের উয়াও অঞ্চলে অনতিবিলম্বে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের জন্য দেয়া এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। দ্রুত ও সফলভাবে নতুন এই পদাতিক ব্যাটালিয়নটি মোতায়েনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। অক্টোবর মাসেও বাংলাদেশ ২৬০ সদস্যের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি দক্ষিণ সুদানে পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ থেকে আরেকটি প্রস্তাব পেয়েছে। দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পদাতিক ব্যাটালিয়ন ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘লিডারস সামিট অন পিস কিপিং’য়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই জাতিসংঘ থেকে এসব প্রস্তাব পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পর থেকে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রাসঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করে যাচ্ছে। এর সফল বাস্তবায়নে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জাতিসংঘ সদর দফতরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় রক্ষা করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী পাঠানোর নতুন দুটি প্রস্তাব বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশের সামর্থ্য এবং প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রতিশ্রুতিশীল কাজের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও আস্থারই পুনঃপ্রতিফলন। বর্তমানে ১৩টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮৫০ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন- যার মধ্যে ১৯৮ জন নারী সদস্য রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৩ জন সদস্য ৪০টি দেশের ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সঙ্গে কাজ করে মিশন সম্পন্ন করেছেন। দক্ষিণ সুদান বিশেষ করে গোটা বিষুবীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিভেদ সংকুল। দক্ষিণ বাহার আল গজল স্টেটের অবস্থা খুই উদ্বেগজনক। যেখানে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ও উচ্ছেদের মতো ঘটনা অনবরত ঘটছে।