বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অবদানের প্রশংসা

 

মেহেরপুর অফিস: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর অবদানের প্রশংসা করেছে এশিয়ান ফোরাম অফ পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএফপিপিডি)। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ১১তম নারী মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য সম্মেলনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করা হয়।

থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি আয়োজিত দুদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুক্রবার দি রয়েল অর্কিড শেরাটন হোটেল, ব্যাংকে শুরু হয়। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮টি দেশ থেকে ৬০ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অংশগ্রহণে গতকাল শনিবার সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনে বক্তব্য দেন এএফপিপিডির চেয়ারপার্সন কেজিও তাকিনি, নির্বাহী পরিচালক মিকা মারুমোতো, সেক্রটারি জেনারেল জেঁন সিরাথ্রনন্ট প্রমুখ। বাংলাদেশ থেকে সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, গাইবান্ধা এলাকার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

সম্মেলনে এএফপিপিডি সেক্রটারি জেনারেল জেঁন সিরাথ্রনন্ট বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্বের শতকরা ৬০ শতাংশ নারীর বাস। একই সাথে বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষের ৭০ শতাংশ মানুষ এই এলাকায় থাকেন যাদের আয় গড়ে সোয়া ডলারেরও কম। এই অঞ্চলের নারীর উন্নয়নের ওপর বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনেকাংশ নির্ভরশীল। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভালো করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে জাতীয় বাজেটে নারী উন্নয়নে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। সংসদ সদস্যাদের নারী উন্নয়নে আরো নিত্য-নতুন আইন ও নীতিমালা প্রণয়নে অগ্রনী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এএফপিপিডি সম্মেলনে আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশ গ্রহন বাড়াতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেছি। গতকাল সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নারীর অগ্রগতি মূল্যায়ন করে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটা ২০ শতাংশ। এদিক থেকে নেপাল প্রথম অবস্থানে এবং বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে আছে। আমরা ভারত এবং পাকিস্থানের চেয়ে এগিয়ে আছি। নারীর নিরাপত্তা ও উপযুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরির জন্য সরকার নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তৈরি পোশাক শিল্পে নারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি, মজুরি বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, তাদের জন্য হোস্টেল নির্মাণসহ নানা ক্ষেত্রে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা সম্মেলনে তুলে ধরেছি যা জেনে বিশ্বনেতারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। জাতীসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর এএফপিপিডি সম্মেলনে বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে।’