বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে রজতজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার দিনব্যাপি নানান আয়োজন করা হয়। এ আয়োজন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। পুরোনো বন্ধুদের দেখা পেয়ে একে অপরকে আবেগে জড়িয়ে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রাক্তন ছাত্রীদের অনেকেই সন্তানদেরকে সাথে নিয়ে আসেন। নেচে গেয়ে তারা দিনটাকে অন্যরকম করে তোলেন। ছাত্রীদের সাথে ভেদাভেদ ভুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আনন্দউচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

দিনব্যাপি কর্মসূচির শুরুতেই সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদিক্ষণ শেষে বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আমন্ত্রিত অতিথি, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে সকাল ৯টায় শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্তকরণ, জাতীয় ও উৎসবের পতাকা উত্তোলন, বেলুন উত্তোলন ও আতশবাজি ফুটানোর মধ্যদিয়ে বর্ণিল উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের (এসএমসি) সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে রজতজয়ন্তী উৎসবের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো.দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেনপুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অ.দা.) মাহফুজুল হোসেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,‘২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাই। বিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন ছাত্রী ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি। তারা এলে অনুষ্ঠান আরো ভালো হতো। আগামীতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবসময় সহযোগিতা করা হবে।’

অন্যান্যের মধ্যে দাতা সদস্য অ্যাড. শাহাবুদ্দীন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অ্যাড. মনসুর উদ্দিন মোল্লা, অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান, হাবিবুর রহমান মংলা ও সাবেক রেক্টর মাহাতাব উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা। কোরআন তেলাওয়াত করেন ধর্মীয় শিক্ষক আলী নাসির। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও দশম শ্রেণির ছাত্রী আলমিন সিদ্দিকা।

আলোচনা শেষে বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন। বিকেলে বিদ্যালয়ে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার শিলা জানান, ১৯৮৯ সালে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষানুরাগীদের উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময়ে মাত্র ৪০ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সাতশতাধিক ছাত্রী রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের সাবেক অনেক ছাত্রী দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন।