বদরগঞ্জে ডাকবিভাগের বিরুদ্ধে সচিত্র প্রতিবেদক প্রকাশিত হওয়ার পর সেই ডাকবাক্সটিতে তালা ও রঙ করা হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জের আঞ্চলিক ডাক অফিসের সেই ডাকবাক্সটিতে নতুন তালা লাগানো ও রঙ করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বদরগঞ্জ আঞ্চলিক ডাক অফিসে চিঠিপত্র না আসলেও ডাক মাস্টার ও পিয়ন মাসের পর মাস তাদের বেতন ভাতা উত্তোলন করা বন্ধ নেই। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা ডাক বিভাগসহ বদরগঞ্জ ডাক অফিসের টনক নড়ে। গোপনে ডাক পিয়ন শ্রী সমির গাঙ্গালি মসজিদ মার্কেট আবু বাক্কার দোকানের সামনে রাখা সেই তালাবিহীন ডাকবাক্সটিতে তালা ও রঙ করে দেন।

সচেতন মহল বলছে, শ্রী সমির গাঙ্গালির পিতা ছিলেন বদরগঞ্জ ডাক অফিসের চিঠি বিতরণকারী। তার মৃত্যুর পর  সূত্র ধরে শ্রী. সমির গাঙ্গালি বদরগঞ্জ ডাক বিভাগের চিঠিপত্রাদি বিতরণকারী হিসেবে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে চিঠিপত্র বিলি কাজ দায়িত্বহীনা অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। চিঠিপত্র বিলি বন্ধ রেখে পুরোহিত সন্ন্যাসী কাজ করে বেড়িয়ে থাকেন।

অপরদিকে বদরগঞ্জ ডাক অফিসের মাস্টার কুতবউদ্দিন আহমেদ বদরগঞ্জ বাকীবিল্লাহ কামেল মাদরাসার শিক্ষককতা করছেন। সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত মাদরাসার ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনো করা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। যার কারণে বদরগঞ্জ বাজারের আঞ্চলিক ডাক অফিসের এই দুর্দশায় পরিণত হয়েছে। পাঠকের লেখা চিঠি  ও খাম বদরগঞ্জ ডাক বিভাগে ঠিকমতো না আসার ফলে এই ডাক অফিসের কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। পাঠকের চিঠির ডাকবাক্সটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে অবহেলায় তালা বিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে বদরগঞ্জ ডাকবিভাগের বর্তমান হালচিত্র দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সেই ডাকবাক্সটিতে তালা লাগানো ও রঙ করা হয়।