ফেসবুকে পরিচয়ে পালিয়ে বিয়ে : আলমডাঙ্গা জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে দিনভর নাটক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের ছেলে কাফি ও মাগুরার মেয়ে কলেজছাত্রী জেরির পরিচয় হয় ফেসবুকে। গত ১০ জুলাই চুয়াডাঙ্গার একাডেমী মোড়স্থ এক কাজির কাছে দুজনে বিয়ে করে। চুয়াডাঙ্গার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করে তারা। গতকাল তাদের কৌশলে ডেকে এনে দিনভর জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে সালিস হয়। সালিসে কোনো সুরাহা না হলে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে কলেজছাত্রীকে রাখা হয়। সকালে আবারো বসে সালিস। কলেজছাত্রী তার ভালোবাসার মানুষকে পেতে বারবার আকুতি জানাতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে দুজনে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের আবারো ডাকা হয় ইউনিয়ন পরিষদে। সালিসে দুজনের ভালোবাসা মেনে নিয়ে সুখি জীবন কামনা করেছে সালিসের উপস্থিত সকলে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের ছেলে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য কেন্দ্রের কম্পিউটার অপারেটর মামুন আব্দুল্লাহ আল কাফি (২৫) ও মাগুরার শ্রীপুর থানার টুপিপাড়া গ্রামের মহিদুল কবিরের মেয়ে এইচএসসি পরিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জেরি (১৮) ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমসম্পর্কে গড়ে তোলে। গত ১০ জুলাই চুয়াডাঙ্গাতে উপস্থিত হয় জেরি। দুজনে চুয়াডাঙ্গা একাডেমী মোড়স্থ একটি কাজি অফিস থেকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। চুয়াডাঙ্গার এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুজনে অবস্থান করাকালীন গতপরশু জেহালা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট জেরির পিতা ও আত্মীয়রা বিচারের আবেদন করেন। তাদের ইউনিয়ন পরিষদের হাজির করে সালিসের আয়োজন করা হয়। সালিসে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে জেরি তার পিতার বাড়িতে ফিরবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। চলতে থাকে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। গতপরশু রাত ১০টা পর্যন্ত সালিসে কোনো সুরাহা না হলে চেয়ারম্যানের বাড়িতে মেয়েটিকে রাখা হয়। সকালে আবারও দুজনকে সালিসে হাজির করা হয়। জেরি পিতা-মাতার সামনে কাফিকে ছাড়া বাঁচবে না বলে বারবার আকুতি জানাতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে দুজনে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। তাদেরকে আবারও ডেকে এনে হাজির করা হয় জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে। তাদের প্রেমকে মেনে নেয় তাদের পিতা-মাতা।