ফার্মেসি মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের দ্বন্দ্বের অবসান দুই পক্ষের সমঝোতা : ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ফার্মেসি মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব শেষমেশ নিরসন হয়েছে। গতকাল বুধবার ফারিয়া তাদের দোষ স্বীকার করে নিলে দু পক্ষের সমঝোতা হয়। ফলে তার উভয়ই তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ওষুধ চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে দন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। ফলে ফার্মেসি মালিক ও ফারিয়া সমিতি মুখোমুখি অবস্থান করছিলো। ফারিয়া চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন সুপার মার্কেটের মুন মেডিকোতে গত ২৯ মে থেকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে এর প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখা। তারা ৩১ মে থেকে ফারিয়ার সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।

ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সংগঠন ফার্মাসিটিক্যালস্ রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৯ মে সন্ধ্যায় মুন মেডিকোতে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিলো সেজন্য ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রতিনিধি নাজমুল হক অপরাধী ছিলেন। তিনি আরো জানান, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ভৃত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার কারণে সংগঠনের স্বার্থে মুন মেডিকোর বিরুদ্ধে অবরোধের ডাক দিই। ফলে বিসিডিএস ও ফারিয়ার সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দূরত্বের সৃষ্টি হয়, যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এখন থেকে আগের মতোই তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। অপরদিকে বিসিডিএস চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জিললু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফারিয়া কর্তৃক মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে যে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা বুধবার বিকেলে জরুরি সভার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে  সকল কোম্পানির ওষুধ গ্রহণ ও অর্ডার দেয়ার জন্য কেমিস্টগণকে অনুরোধ জানানো হলো।