ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গা ঝাঝরি গ্রামের কলমের রহস্যজনক মৃত্যু : আপস-মীমাংসার টাকা না পেয়ে দু মাসের মাথায় হত্যা মামলা

বেগমপুর প্রতিনিধি: গত ২ মাস আগে চুয়াডাঙ্গা সদরের ঝাঝরি গ্রামে কলম নামের একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক মৃত্যু না কী হত্যা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ২৪ ঘন্টা পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৩ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা করে নিহত কলমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। প্রথম থেকে কলমের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। অবশেষে আপস-মীমাংসার টাকা না পেয়ে দু মাস পর কলমের স্ত্রী রেশমা গত ৩০ জুন আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামের আজিরবক্স মণ্ডলের ছেলে কলম আলীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। কলমের মৃত্যু নিয়ে প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে কলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার ভাই আলম ও ভাইয়ের ছেলে হাবিল এমনি অভিযোগ তোলা হয়। পরে গ্রাম্যমাতব্বরদের সহযোগিতায় ৩ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা হলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই একদিন পর পুলিশকে ম্যানেজ করে কলমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। আপস-মীমাংসার টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করলে নিহত কলমের স্ত্রী রেশমা বেগম গত ৩০ জুন চুয়াডাঙ্গা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন আলম ও হাবিলের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছে আপসের টাকা না পেয়ে দু মাস পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। টাকা পেলে হয়তো মামলা হতো না।

এদিকে গ্রামবাসী জানায়, কলমের নিকট থেকে ভাই আলম এবং ভাইপো হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষর জাল করে ৩ গণ্ডা ভিটেজমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। এ নিয়ে কলম তাদের নামে একটি মামলাও করে। মামলার কয়েকদিনের মাথায় কলমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। কলমের মৃত্যুর পর পরই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে কলমের পরিবার থেকে জোরালো অভিযোগও তোলা হয়। এদিকে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও আদালত কি সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে দু মাস পরে কলমের মৃত্যু নিয়ে মামলা হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।