প্রেমিক-প্রেমিকাকে ১০১ দোররার পর বিয়ে

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেম করার অপরাধে প্রেমিক-প্রেমিকাকে ১০১টি দোররা (বেত্রাঘাত) মারার পর তাদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছে স্থানীয় সমাজপতিরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার খাড়বাটরা গ্রামে এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ১০১ বেত্রাঘাতের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রেমিকযুগল। এছাড়া লোকলজ্জার ভয়ে দিশেহারা তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাড়বাটরা গ্রামের মৃত এত্তাজ আলীর ছেলে আলালপুর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী মনিরুল ইসলামের (৪৫) সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের প্রেমসর্ম্পক চলে আসছিলো। এ সম্পর্কের জের ধরে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে রোববার জনৈক নুহ মাস্টারের গলিতে ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সারারাত ধরে বিচারকাজ চলে। রাতে শেষ না হওয়ায় সোমবার সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে এ বিচারকাজ। বিচারে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নুহ মাস্টার, হাসেন সরদার, একরামুল সরদার, আবদুর রহমান ও মন্টু মেম্বারসহ অনেকেই। বিচারে প্রেমিক প্রেমিকাকে প্রায় ২৫০/৩০০ মানুষের উপস্থিতিতে ১০১টি বেত্রাঘাত করা হয়। এছাড়া উভয়কে সাড়ে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে দু লাখ ৫২৫ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রেমিক মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ও তার প্রেমিকা দোররার আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের আত্মমর্যাদার চরম ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় এক বিচারক মুন্টু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাদের বিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও বেত্রাঘাত করার কথা অস্বীকার করেন। ভোলাহাট থানার ওসি মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে দোররা মারার ঘটনার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।