প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিওচিত্র স্বামীর কাছে পাঠালো আলমডাঙ্গা উদয়পুরের মুন্না

 

আলমডাঙ্গার ব্যুরো: আলমডাঙ্গার উদয়পুরের মুন্নার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে রাতে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে তা মোবাইলফোনে ধারণ করে স্বামীর নিকট পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করার অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিত ওই নারী। গত বুধবার দুপুরে তিনি চাচার সাথে লিখিত অভিযোগ জানাতে আসেন আলমডাঙ্গা থানায়। এ সময় তাদের সাথে কথা হয়।

তারা অভিন্ন ভাষায় জানান, প্রায় ১ বছর আগে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার নান্দিয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে প্রবাসীর স্ত্রী পিতার বাড়িতেই বসবাস করেন। এদিকে স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগ নিতে অপচেষ্টা করে আসছিলেন প্রবাসীর স্ত্রীর প্রতিবেশী উদয়পুর গ্রামের মহর আলীর ছেলে মুন্না। সে প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইলফোন নম্বর যোগাড় করে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। সম্প্রতি একরাতে মুন্না তাদের বাড়িতে গিয়ে গল্প শুরু করেন। বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে প্রবাসীর স্ত্রীকে মুন্না তার নিজের ঘরে ডেকে নেন। অনেক সাধাসাধি করে কিছু নাস্তা খেতে দেয়। নাস্তা খাওয়ার পর পরই প্রবাসীর স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে মুন্না তাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলফোনে ওই দৃশ্য ধারণ করেন। পরে ওই সব অশ্লীল দৃশ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবাসী স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন মুন্না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসী স্বামী জরুরিভাবে বাড়ি ফেরেন। গত ২৬ আগস্ট স্বামী-স্ত্রী ও তাদের আত্মীয়স্বজন এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন। এক পর্যায়ে ওই ধর্ষিত নারীকে তালাক দেন প্রবাসী। এ বিষয়ে ধর্ষিতা গত ৩১ আগস্ট আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অন্যদিকে, গ্রামসূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে মুন্নার পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। পরকীয়ার সুত্র ধরেই প্রবাসীর স্ত্রী রাতে মুন্নার ঘরে যান। মুন্না পরিকল্পিতভাবেই মোবাইলফোনে অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে তা বিদেশে থাকা স্বামীর নিকট পাঠিয়ে দেন। যাতে প্রবাসী স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেন।