প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪০০ কৃষক মাঝে বিনামূল্যে ধানবীজ সার ও টাকা প্রদান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধানবীজ রাসায়নিক সার ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ২০১৭-২০১৮ সালের খরিফ-১ মরসুমের উফশী ও নেরিকা আউশ ধান আবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উফশী আউশ ধানের জন্য ১ হাজার ১০০ জন, নেরিকা আউশ ধানের ৫০ জন এবং কুমড়া জাতীয় সবজি চাষে ফেরোমন বাবদ ৪০ চাষি এসব সুবিধা পাবেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বীজ-সার বিতরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত ও কোহিনূর বেগম উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, কৃষকরা জাতির অহংকার। কৃষকদের মাধ্যমে সরকার প্রধান স্বপ্ন দেখছেন এদেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। এর মাধ্যমে আপনাদের অর্থ পাঠানো হবে। যে সকল ধানবীজ, সার ও টাকা পাচ্ছেন তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ভবিষ্যতে যেন সরকার কৃষকদের আরও সহযোগিতা করে। অনুষ্ঠানে প্রতি কৃষক ১ বিঘা জমি আবাদের জন্য উফশী আউশ ধান আবাদের জন্য ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার ও সেচ সহায়তা বাবদ ৪০০ টাকা পাবেন।

নেরিকা জাতের আবাদের জন্য ১ জন চাষি ১০ কেজি নেরিকা ধানের বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার, আগাছা দমন বাবদ ৪০০ টাকা এবং সেচ সহায়তা বাবদ ৪০০ টাকা পাবেন। কুমড়া জাতীয় সবজির জমিতে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার কর্মসূচির আওতায় ১ জন চাষি ১৮টি পট ও ৩৬টি লিউর পাবেন। জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ ।