প্রচণ্ড গরমে প্রাণীকুল ওষ্ঠাগত

 

বিদ্যুত না পেয়ে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে মানুষ

জীবননগর ব্যুরো: গত দুই সপ্তাহ ধরে জীবননগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভ্যাপসা গরমের তিব্রতা, রোদের প্রখরতা ও আগুনের মতো উত্তপ্ত বাতাস এবং অসহনীয় লোডশেডিঙের কারণে জনজীবন-প্রাণীকুল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিন যত যাচ্ছে ততোই তাপমাত্রা বাড়ছে। ফ্যানের বাতাসেও স্বস্তি মিলছে না। ঘরে-বাইরে সর্বত্র অসহনীয় অবস্থা। অস্থির হয়ে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। গরমের কারণে রোদ বাড়ার সাথে সাথে উপজেলার রাস্তা-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত গরমে প্রকোপ বেড়েছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইতোমধ্যে প্রচণ্ড গরমের কারণে উপজেলায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এবং মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু-পাখিও কাবু হয়ে পড়েছে। আকাশে প্রায় প্রতিদিন মেঘের ঘনঘটা থাকলেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির জন্য চারিদিকে যেন হাহাকার পড়ে গেছে। জীবননগরে গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

এদিকে অসহনীয় এ গরমের মধ্যেও পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। দিনরাত মিলে সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন ঘন বিদ্যুত বিভ্রাট ও লোডশেডিঙে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ কারণে উপজেলার পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার উথলী পল্লী বিদ্যুত সাব-স্টেশনের ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. শাহিন জানান, উপজেলা শহরে সাব-স্টেশনের ৩টি এবং উথলী সাব-স্টেশনের ৫টি ফিডারসহ মোট ৮টি ফিডারে পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। সেখানে বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪ মেগাওয়াট যা প্রাপ্ত বিদ্যুতের গড় চাহিদার ৪ ভাগের এক ভাগ। যা দিয়ে ৩ ফিডারও চালানো সম্ভব হচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুত সরবরাহ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কয়েক দিনের প্রখর রোদ আর অসহনীয় গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি। তীব্র দাপদাহে একটু শীতল স্বস্তির পরশ খুঁজছে মানুষ। তৃষ্ণার্ত শিক্ষার্থী টিউবওয়েলের ঠাণ্ডা পানিতে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছে। একজন টিউবওয়েলে চাপ দিচ্ছে বাকিরা বোতল, গ্লাস জগ নিয়ে পানি ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।